দোহা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মুহান্নাদ সেলুম মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাতারভিত্তিক ঘাঁটি আল-উদেইদে ইরানের সর্বশেষ হামলাটি মূলত প্রতীকী এবং এটি ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনার একটি নতুন স্তর।
তিনি বলেন, ইরান অতীতে যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে ইরাকের ভেতরে হামলা চালিয়েছে। কিন্তু এবার তারা একেবারে ভিন্ন পথে হেঁটেছে—তারা কাতারকে হামলার ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে, যা এক নতুন মোড়।
সেলুমের মতে, ইরাক এত দিন মার্কিন-ইরান দ্বন্দ্বের কেন্দ্র ছিল এবং সেখানে হামলা অনেকটা ‘নিয়মিত ঘটনা’য় পরিণত হয়েছে। কিন্তু কাতারের মতো তৃতীয় দেশে হামলা ‘এক নতুন বার্তা’।
তিনি ধারণা করছেন, ইরান হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্র ও সম্ভবত কাতারকেও অবহিত করেছিল। আমার প্রাথমিক মূল্যায়নে এটি প্রতীকী হামলা বলেই মনে হচ্ছে।
আল-উদেইদ বিমানঘাঁটি আগেই খালি করা হয়েছিল এবং সেখানে কেবল মার্কিন সেনাই নয়, কাতারি সেনারাও অবস্থান করছিল।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সেলুম বলেন, পরিস্থিতি এখন দুটি পথ নিতে পারে। প্রথমত, ইরান এই হামলাকে মুখরক্ষা হিসেবে তুলে ধরে আলোচনায় বসতে পারে। দ্বিতীয়ত, সংঘাত আরও মারাত্মক দিকে মোড় নিতে পারে—যেখানে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরোধে বড় ধরনের পাল্টা জবাব দিতে বাধ্য হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান উত্তেজনা সামাল না দেওয়া গেলে তা পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে টেনে নিতে পারে সরাসরি যুদ্ধের দিকে।