অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যা ২০২২ সালের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। গতকাল রোববার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। নিহত ৫০৫ জনের মধ্যে শিশুই শতাধিক। তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ২০২৩ সালে ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে ৫০৫ জন ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে ১১১ জনই শিশু। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে বিগত ৭১ দিনে পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছে ২৯৭ জন। অথচ, ২০২২ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছিল ২২৪ জন।
গাজার সবচেয়ে বড় টানেল আবিষ্কারের দাবি করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গাজায় হামাসের টানেল নেটওয়ার্কের এই অংশটি গাজা-ইসরায়েল সীমান্তের ইরেজ ক্রসিংয়ের কাছাকাছি অবস্থিত। টানেলটি এতটাই চওড়া যে এর মধ্য দিয়ে অনায়াসে গাড়ি চালিয়ে যাওয়া যায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, সদ্য আবিষ্কৃত এই টানেলটি ইরেজ ক্রসিং থেকে মাত্র ৪০০ মিটার দূরে এবং এটি লম্বায় প্রায় ৪ মাইল। ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, এই টানেলটি দীর্ঘ কয়েক বছর সময় নিয়ে এবং কয়েক মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে নির্মাণ করা হয়েছে। হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ভাই মোহাম্মদ ইয়াহিয়ার নেতৃত্বে এই কাজ হয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী আরও জানিয়েছে, এই টানেলটিতে ড্রেনেজ ও স্যুয়ারেজ সিস্টেম রয়েছে। আছে বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও ভেন্টিলেশন ব্যবস্থাও। পাশাপাশি রয়েছে রেইল ট্র্যাকও। টানেলটির দেয়াল তৈরি করা হয়েছে রিইনফোর্সড কংক্রিট দিয়ে এবং এর প্রবেশপথের দরজাটি শক্ত ধাতব বস্তু দিয়ে তৈরি। যা প্রায় দেড় সেন্টিমিটার পুরু।
ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে, টানেলে তারা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র মজুত অবস্থায় পেয়েছে। এই অস্ত্রগুলো ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলার কাজে ব্যবহার করা হতো বলে দাবি করেছে আইডিএফ। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিচার্ড হেকট বলেছেন, ‘হামাস এই প্রকল্পে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘টানেলটিকে ইচ্ছাকৃতভাবে ইরেজ ক্রসিংয়ের কাছে তৈরি করা হয়েছিল।’