হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

বারবার ট্রাক লুট, ৩৩৩ কর্মী নিহত, গাজার প্রধান ক্রসিং দিয়ে ত্রাণ সরবরাহ স্থগিত

সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৩৩ জন ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছেন। ছবি: এএফপি

গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাতের ফলে উপত্যকাটি এক ভয়াবহ মানবিক সংকটের মুখে পড়েছে। ত্রাণকর্মীদের হত্যা, ত্রাণবাহী যানবাহনের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার কারণে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) গাজার প্রধান ক্রসিং কারেম শালোম দিয়ে ত্রাণ সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে জানান, শনিবার ইসরায়েল সীমান্তের কারেম শালোম ক্রসিং দিয়ে ত্রাণ নিয়ে আসা কয়েকটি ট্রাক লুট হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে নভেম্বর মাসে প্রায় ১০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক লুট হওয়ার ঘটনা ঘটে। রাফাহ ক্রসিং বন্ধ হওয়ার পর কারেম শালোম ক্রসিং ত্রাণ সরবরাহের প্রধান পথ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

লাজারিনি বলেন, ‘চলমান অবরোধ, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের বাধা, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ত্রাণের অভাবে গাজার জনগণের দুর্দশা তীব্রতর হচ্ছে।’

ইউএনআরডব্লিউএর তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে গড়ে মাত্র ৬৫টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে, যেখানে যুদ্ধের আগে প্রতিদিন গড়ে ৫০০টি ট্রাক প্রবেশ করত। এ পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ত্রাণ লুট করে উচ্চমূল্যে বিক্রি করছে।

জাতিসংঘ জানায়, ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৩৩ জন ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছেন। গত শনিবার খান ইউনিসে এক ইসরায়েলি বিমান হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের তিন কর্মী নিহত হন। ইসরায়েল দাবি করে, নিহতদের একজন হামাসের যোদ্ধা ছিলেন। তবে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি তারা।

ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, হামাস ত্রাণ সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে, হামাস দাবি করছে, ইসরায়েল গাজার ত্রাণ কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য তাদের পুলিশ বাহিনীকে টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে।

এদিকে, কায়রোতে হামাস নেতারা যুদ্ধবিরতি আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রও হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে কাজ করছে। তবে এখনো কোনো পক্ষ থেকে সমঝোতার ইঙ্গিত মেলেনি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, সংঘাত শুরুর পর থেকে প্রায় ৪৪ হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ৯০ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। অন্যদিকে, ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসের জিম্মি হওয়া ৬৩ জন এখনো জীবিত।

গাজায় চলমান সংঘাত অবসানের কোনো সুনির্দিষ্ট সমাধান না হওয়ায় পরিস্থিতি দিন দিন আরও জটিল আকার ধারণ করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এ মানবিক সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ত্রাণকর্মী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

যুদ্ধের মধ্যেই গাজায় দুবার সন্তান প্রসবের ভয়াবহ স্মৃতি হাদিলের

আসাদের খালি হয়ে যাওয়া কুখ্যাত কারাগারগুলো ভরে উঠছে আবার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ফিলিস্তিনিদের প্রলোভনে ফেলে গাজা খালি করার মিশনে ইসরায়েলঘনিষ্ঠ ভুয়া সংস্থা

গাজায় নতুন শাসনকাঠানো কার্যকর শিগগির: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পাঠদান শুরু

ইসরায়েলি সেটেলারদের আগ্রাসন ঠেকাতে ফিলিস্তিনি গ্রামে মানবঢাল একদল স্বেচ্ছাসেবক

সিরিয়ায় একযোগে ৭০ স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা

সমুদ্র উপকূলে পাওয়া গ্যাস বিক্রি করে গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র–আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের

আরব বসন্তে ক্ষমতাচ্যুত একনায়কেরা এখন কোথায় কেমন আছেন