নিজেকে ইসরায়েলের চেয়ে বেশি বয়সী দাবি করে সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছিলেন গাজায় বসবাস করা হাদিয়া নসর নামে এক বৃদ্ধা। তাঁর ওই ভিডিওটি এখনো অনলাইনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আজ শুক্রবার আল-আরাবিয়া জানিয়েছে, ইসরায়েলি স্নাইপাররা অজ্ঞাত স্থান থেকে গুলি করে হত্যা করেছে হাদিয়াকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭৯ বছর বয়সী হাদিয়া নসরের জন্ম হয়েছিল ১৯৪৪ সালে। সেই অর্থে ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করে যখন ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল, তারও চার বছর আগে জন্মেছিলেন হাদিয়া। ১৯৪৮ সালের সেই পরিস্থিতিকে ‘নাকবা’ বা বিপর্যয় নামে চিহ্নিত করে ফিলিস্তিনিরা।
ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের চলমান সংঘাতের মধ্যে হাদিয়ার ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ধারণ করেছিলেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক সালেহ আল জাফরাবি। ইসরায়েলি বিমান হামলায় মারাত্মক আহত হাদিয়াকে তিনি একটি হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, সরকারি নথিতে হাদিয়ার জন্মের তারিখ দেখে কিছুটা হোঁচট খান জাফরাবি। পরে ইসরায়েলের জন্মের আগে হাদিয়ার জন্মের বিষয়টি উঠে আসে তাঁদের আলোচনায়। একপর্যায়ে এই বিষয়টি নিয়ে উপস্থিত মানুষকে হাসাহাসি করতেও দেখা যায়।
আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞাকে প্রত্যাখ্যান করে নিজের বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন হাদিয়া।
স্থানীয় এক ফটোসাংবাদিক আল-আরাবিয়াকে নিশ্চিত করেছেন, নিজ বাড়ির দরজার সামনেই হাদিয়াকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি স্নাইপাররা।
মাঝখানে পাঁচ দিনের বিরতি ছাড়া গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় টানা বোমাবর্ষণ ও হামলা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে গাজা শহরে মৃতের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
জাতিসংঘের এক পরিসংখ্যান বলছে, ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ১৯ লাখই বাস্তুচ্যুত হয়েছে।