হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

ইরানে হামলা করা থেকে ইসরায়েলকে ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রকে উপসাগরীয় দেশগুলোর অনুরোধ

ইরানের তেল স্থাপনায় যেন ইসরায়েল হামলা না চালায় বিষয়টি নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছে ইরানের প্রতিবেশী উপসাগরীয় দেশগুলো। তাদের আশঙ্কা এমনটা হলে ইরানের প্রক্সি গোষ্ঠীগুলো উপসাগরীয় দেশগুলোর তেল স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে। 

উপসাগরীয় দেশগুলোর তিনটি সরকারি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিষয়টি জানিয়েছে। সূত্রগুলো জানিয়েছে, নিজেদের ক্ষতি হতে পারে এই আশঙ্কায় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতারসহ উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলো ইরানের ওপর কোনো আক্রমণের জন্য ইসরায়েলকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দিতে অস্বীকার জানিয়েছে এবং বিষয়টি ওয়াশিংটনকে জানিয়েও দিয়েছে।

গত ১ অক্টোবর ইরান ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। হামলার পরপরই ইসরায়েল প্রতিজ্ঞা করে বলে, এর জন্য ইরানকে চড়া মূল্য পরিশোধ করতে হবে। জবাবে ইরানও জানায়, ইরানে হামলা হলে এই অঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হবে। এই হুমকির পর এই আশঙ্কাও শুরু হয় যে, যুক্তরাষ্ট্রও হয়তো সরাসরি এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে। তবে পেন্টাগন জানিয়েছে, তারা ইরানের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে চায় না।

উপসাগরীয় দেশগুলোর তরফ থেকে এই আহ্বান এমন এক সময়ে এল যার কিছুদিন আগেই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপসাগরীয় কয়েকটি দেশ সফর করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ইরানের আরব প্রতিবেশী দেশগুলোকে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রভাবিত করার জন্য চাপ দিয়েছে। 

ইরান সরকারের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও কূটনীতিক রয়টার্সকে বলেছেন, চলতি সপ্তাহে বৈঠকের সময় ইরান সৌদি আরবকে সতর্ক করে দিয়েছিল যে, ইসরায়েলকে হামলা চালাতে কোনো ধরনের সহায়তা সৌদি আরব দিলে তেহরান রিয়াদের তেল স্থাপনার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারবে না। সৌদি আরবে বিশ্লেষক আলি শিহাবি বলেছেন, ‘ইরানিরা বলেছে, যদি উপসাগরীয় দেশগুলো তাদের আকাশসীমা ইসরায়েলের জন্য খুলে দেয়, তাহলে সেটা হবে যুদ্ধের শামিল।’ 

ইরানি ওই কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, তেহরান রিয়াদকে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়েছে যে, ইরানে ইসরায়েলের হামলায় সৌদি আরবের সমর্থন থাকলে তেহরান ইরাক বা ইয়েমেনের মতো দেশগুলোতে তার মিত্রদের প্রতিক্রিয়া কী হবে সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারবে না। 

বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত ওয়াশিংটনের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, উপসাগরীয় দেশগুলোর কর্মকর্তারা ইসরায়েলের প্রত্যাশিত প্রতিশোধ নেওয়ার সম্ভাব্য সুযোগ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করতে মার্কিনিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। 

সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক আটলান্টিক কাউন্সিলের ফেলো জনাথন প্যানিকফ বলেছেন, ‘ইসরায়েলকে (যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে) বোঝানোর চেষ্টা করার জন্য উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর উদ্বেগ ইসরায়েলের প্রতিপক্ষের সঙ্গে সমস্যা সমাধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হতে পারে।’

গাজায় হামাসবিরোধী ইসরায়েলি প্রক্সি গোষ্ঠীর নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত, কে তিনি

গাজায় যুদ্ধবিরতি খুব ভালোভাবে চলছে, দ্বিতীয় ধাপ শুরু শিগগির: ট্রাম্প

মার্কিন মধ্যস্থতায় ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবার সরাসরি আলোচনায় লেবানন-ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের নেলসন ম্যান্ডেলা: বারঘৌতির মুক্তির দাবিতে সোচ্চার দুই শতাধিক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব

‘সর্বত্র ভূত দেখে’ যত্রতত্র ‘বোমা ফেলছেন বিবি’, লাগাম টানতে ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রই একমাত্র সমাধান—পোপ

দুর্নীতির মামলায় প্রেসিডেন্টের কাছে নেতানিয়াহুর ক্ষমা প্রার্থনা

গাজার পুলিশ বাহিনী গঠনে হাজারো ফিলিস্তিনিকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে মিসর

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছে, নিহত ৭০ হাজার ছাড়াল

সংঘবদ্ধ নির্যাতন ‘কার্যত’ ইসরায়েলের রাষ্ট্রনীতি, কুকুর হামলা, যৌন নির্যাতনের চিত্র জাতিসংঘের প্রতিবেদনে