চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই আজ ইরান ও ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে পৃথক টেলিফোন আলাপে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংকট নিয়ে বেইজিংয়ের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, তিনি ইরানি উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচিকে আশ্বাস দিয়েছেন, চীন ‘তেহরানের বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায়’ সব সময় পাশে থাকবে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সাআরের সঙ্গে আলাপে ওয়াং ই বলেন, ‘ইরানের ওপর বলপ্রয়োগ করে হামলা চালানো’ চীন সমর্থন করে না এবং এই ধরনের পদক্ষেপ আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি।
চীনের এই দ্বৈত কূটনৈতিক বার্তা মধ্যপ্রাচ্যে বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং সংঘাত নিরসনে তাদের সক্রিয় ভূমিকার ইঙ্গিত দেয়।
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোর ক্ষয়ক্ষতি হয়, যার জবাবে ইরান পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই ঘটনার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এবং চীনসহ বিভিন্ন দেশ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে আসছে।
চীন এর আগেও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে বড় ভূমিকা রেখেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইরান-সৌদি আরব পুনর্মিলনের মধ্যস্থতা (মার্চ ২০২৩)।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ফোনালাপগুলো শুধু কূটনৈতিক বার্তা নয়, বরং চীনের দীর্ঘমেয়াদি নীতির প্রতিফলন। যেখানে আন্তর্জাতিক আইন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সার্বভৌমত্বকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
বিশ্ব পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে চীনের এই অবস্থান ভবিষ্যৎ আলোচনার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।