হোম > বিশ্ব > লাতিন আমেরিকা

মেক্সিকোতে নিখোঁজ ১ লাখ ৩০ হাজার, প্রতিবাদে রাজপথে জনগণ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

নিখোঁজদের জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে রাজপথে মেক্সিকোবাসী। ছবি: বিবিসি

মেক্সিকোতে ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের নাম নিখোঁজের তালিকায় নথিভুক্ত রয়েছে। ২০০৭ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফেলিপে ক্যালদেরন ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ ঘোষণা করার পর থেকে নিখোঁজের তালিকায় নাম বাড়তে থাকে। যা এসে দাঁড়িয়েছে প্রায় দেড় লাখে। এ অবস্থায় নিখোঁজ বা গুমের ঘটনা প্রকাশ্যে আনতে এবং গুম বন্ধে সরকারের পদক্ষেপের দাবিতে বিক্ষোভ করছে দেশটির জনগণ।

মেক্সিকো সিটি, গুয়াদালাহারা, কর্দোভা এবং অন্যান্য শহরের রাস্তায় নেমে বিচার দাবি করেছেন নিখোঁজদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং মানবাধিকার কর্মীরা। এ সময় তাঁরা প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবামের সরকারের কাছে ন্যায়বিচার চেয়েছেন এবং প্রিয়জনদের খুঁজে বের করতে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

নিখোঁজদের পরিবারের দাবি, নিখোঁজদের জোর করে মাদক চক্রে নিয়োগ করা হয়েছে। রাজি না হওয়ায় হত্যা করা হয়েছে।

এই নিখোঁজ ও মৃত্যুর ঘটনাগুলোর জন্য মূলত মাদক চক্র এবং অন্যান্য অপরাধী দল দায়ী হলেও, নিরাপত্তা বাহিনীকেও এসবের জন্য দায়ী করা হয়।

এরইমধ্যে মেক্সিকোর বিভিন্ন শহর, রাজ্য ও পৌরসভায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এই নিখোঁজের সমস্যা কতটা ছড়িয়ে পড়েছে এবং বিভিন্ন সম্প্রদায় ও পরিবারগুলোকে কতটা প্রভাবিত করছে, তা এর মাধ্যমে বোঝা যায়।

দেশটির দক্ষিণের ওয়াহাকা রাজ্য থেকে উত্তরের সোনোরা ও দুরাঙ্গো পর্যন্ত নিখোঁজদের পরিবারের সদস্য এবং কর্মীরা সড়কে নেমে আসেন। প্রিয়জনদের ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এই সমস্যার সমাধানে আরও পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।

এই অবরোধের কারণে মেক্সিকো সিটিতে রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো বন্ধ হয়ে যায়।

নিখোঁজদের পরিবারগুলো বাধ্য হয়ে নিজেরা মিলে ‘বুসকাদোরেস’ নামে নিজস্ব অনুসন্ধান দল গঠন করেছেন। এই দলটি উত্তর মেক্সিকোর গ্রামাঞ্চল ও মরুভূমিতে দিনরাত খোঁজ চালায়, কখনো কখনো মাদকচক্রের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গণকবরের অবস্থান খুঁজে বেড়ায়।

নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনুসন্ধান ও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি জলিস্কো অঙ্গরাজ্যে এক অনুসন্ধানী দল একটি সন্দেহভাজন মাদকচক্রের খামার আবিষ্কার করে। ওই সময় অভিযানে যুক্ত কয়েকজনকেই গুম করে ফেলা হয়।

পরে অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় জানায়, ওই জায়গায় কোনো সমাধির চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

জাতিসংঘ এ ঘটনাকে ‘একটি বিশাল আকারের মানবিক ট্র্যাজেডি’ বলে অভিহিত করেছে।

মেক্সিকোতে বর্তমানে যে পরিমাণ গুমের ঘটনা ঘটছে তা লাতিন আমেরিকার কিছু ভয়াবহতম রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে।

১৯৯৬ সালে শেষ হওয়া গুয়াতেমালার ৩৬ বছরের গৃহযুদ্ধে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়েছিলেন। অন্যদিকে, ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৩ সালের মধ্যে আর্জেন্টিনার সামরিক শাসনের সময় আনুমানিক ৩০ হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়েছিলেন।

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ১৩ জনের মৃত্যু, আহত শতাধিক

গুয়াতেমালায় বাস খাদে পড়ে নিহত অন্তত ১৫, আহত ১৯

ভেনেজুয়েলার আশপাশে ১৫ হাজার সেনা, ‘কোয়ারেন্টিন’ আরোপের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের

ভেনেজুয়েলা উপকূলের কাছে আরেকটি তেলবাহী ট্যাংকারকে যুক্তরাষ্ট্রের ধাওয়া

ভেনেজুয়েলার আরও একটি তেলের ট্যাংকার ধাওয়া করছে মার্কিন বাহিনী

ভেনেজুয়েলায় মার্কিন হস্তক্ষেপ নিয়ে সতর্ক করলেন লুলা

ভেনেজুয়েলার উপকূলে আবার তেলের ট্যাংকার জব্দ করল যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন নজর এড়িয়ে কীভাবে তেল পাচার করে ভেনেজুয়েলার গোপন নৌবহর

ব্রাজিলে ধসে পড়ল ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টির’ ১১০ ফুট উঁচু রেপ্লিকা

খড়্গহস্ত ট্রাম্প: মাদুরোর পাশে থাকবেন পুতিন ও লুকাশেঙ্কো