ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো নতুন করে স্বাস্থ্য সংকটে পড়েছেন। তাঁর চিকিৎসক ক্লাউদিও বিওরোলিনি বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছেন, বলসোনারোর শরীরে চামড়ার ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। মাত্র কয়েক দিন আগে তিনি অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের দায়ে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রোববার বলসোনারোর শরীর থেকে ৮টি চামড়ার ক্ষত অপসারণ করা হয়। বায়োপসিতে দেখা যায়, তাঁর বুকে ও হাতে পাওয়া দুটি ক্ষতে স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা রয়েছে, যা মাঝারি মাত্রার ক্যানসার। চিকিৎসকের ভাষায়—এটি খুব বেশি মারাত্মক নয়, আবার একেবারেই নিরীহও নয়। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ায় আপাতত নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ছাড়া বাড়তি চিকিৎসা লাগছে না।
ব্রাজিলে অভ্যুত্থান চেষ্টার দায়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর ২৭ বছর ৩ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পর থেকে বলসোনারো নজরদারির মধ্যে আছেন। মঙ্গলবার হেঁচকি, বমি ও রক্তচাপ কমে যাওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, পানিশূন্যতার কারণে তাঁর কিডনির কার্যক্ষমতা ব্যাহত হচ্ছিল। রাতভর হাসপাতালে থাকার পর বুধবার দুপুরে তিনি বাসায় ফেরেন। আগস্টের শুরুর দিক থেকে তিনি রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় গৃহবন্দী অবস্থায় আছেন।
চিকিৎসক বিওরোলিনি বলেন, ‘বলসোনারোর হেঁচকির নির্দিষ্ট কোনো কারণ পাওয়া যায়নি। এটি ২০১৮ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় পেটে ছুরিকাঘাতের ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত কি না, সেটিও নিশ্চিত নয়।’
এদিকে বলসোনারোর আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই সাজা কমানোর জন্য আপিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁরা তাঁর নাজুক স্বাস্থ্যকে যুক্তি হিসেবে দেখিয়ে কারাদণ্ড গৃহবন্দী অবস্থায় ভোগ করার আবেদন করতে পারেন। একই সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক মিত্ররা কংগ্রেসে ক্ষমা প্রস্তাবনা উত্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছেন, যাতে সাজা কমানো যায়।