ভারতের মণিপুর এখনো অশান্ত। গত শনিবার গভীর রাতে রাজ্যের বিষ্ণুপুর জেলার খোইজুমন্তবি গ্রামে দুষ্কৃতকারীরা হামলা চালায়। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, এক ব্যক্তির মাথা কেটে নেওয়ার পাশাপাশি দুই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে অস্ত্রধারীরা। বহু বাড়িতে নতুন করে আগুন লাগায় তারা। ফলে রাজ্যে ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
খবর পেয়েই গতকাল রোববার সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। তিনি রাজ্যজুড়ে অশান্তির জন্য প্রতিবেশী মিয়ানমারকে দায়ী করেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ মে থেকেই মণিপুরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত। মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দিতেই বিদ্রোহ শুরু করে কুকি জনগোষ্ঠীর লোকেরা।
কুকি ও মেইতেই সংঘর্ষে এখনো পর্যন্ত শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ঘরছাড়া ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে বৃহস্পতিবার ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে অবশ্য তিনি সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেন।
শনিবার একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বীরেন সিং বলেন, বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুল পোড়ানোয় তিনি আবেগতাড়িত হয়ে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন। তাঁর দাবি, অশান্তি না থামার জন্য মোদিকে দায়ী করার কোনো যুক্তি নেই।
তবে বিরোধীরা দাবি করছেন, অবিলম্বে বীরেন সিংকে হটিয়ে রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করতে হবে।