এবার কংগ্রেসশাসিত ছত্তিশগড়েও শুরু হয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় অনুসন্ধানকারী সংস্থাগুলোর তৎপরতা। আগামী বছরই বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে রাজ্যটিতে। তার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি) তৎপরতা বাড়িয়ে চলেছে বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস।
গতকাল শুক্রবার কয়লা কেলেঙ্কারিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের উপসচিব সৌম্য চৌরাসিয়াকে। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে শারীরিক পরীক্ষা করে আদালতে পেশ করা হলে আদালত চৌরাসিয়াকে ৪ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে, গত অক্টোবরে ধারাবাহিক তল্লাশি চালিয়ে রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ আমলা সমীর বিষ্ণুইসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি।
কংগ্রেসের অভিযোগ, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে অপব্যবহার করা হচ্ছে ইডিকে। অন্যদিকে, বিজেপির আঙুল দুর্নীতিপরায়ণ নেতা-আমলাদের দিকে। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিরোধীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই বিজেপি ইডিকে ব্যবহার করছে।
ভারতের ২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে কংগ্রেসের শাসন রয়েছে মাত্রা দুটি রাজ্যে—রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে। দুটি রাজ্যেই বিধানসভা নির্বাচন হবে ২০২৩ সালে। রাজস্থানে এরই মধ্যে কংগ্রেসের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির মামলা চলছে। এবার ছত্তিশগড়েও শুরু হলো ধরপাকড়।
ভারতে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, ঝাড়খন্ড, তেলেঙ্গানাসহ অ–বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই একাধিক নেতা-মন্ত্রী জেলে। একাধিক মুখ্যমন্ত্রীও রয়েছেন গোয়েন্দাদের নজরে। এই অবস্থায় ছত্তিশগড়ে মুখ্যমন্ত্রীর উপসচিবকে গ্রেপ্তার নতুন করে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠছে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। তবে বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধ চালাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার।