উচ্চ শিক্ষা এবং সরকারি চাকরিতে ভারতের গরিব বা অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর সম্প্রদায় ১০ শতাংশ কোটা পাবেন। স্থানীয় সময় আজ সোমবার ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছেন। আদালত জানিয়েছেন, এই কোটার মাধ্যমে ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে কোনোভাবেই ক্ষুণ্ন করে না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
আদালত জানিয়েছেন, গরিব বা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল সম্প্রদায়ের জন্য ১০ শতাংশ কোটা নির্ধারণ কররা ফলে তা সংবিধানে উল্লিখিত সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ কোটার নির্দেশনাকে কোনোভাবেই অতিক্রম করে না। ২০১৯ সালে বর্তমান বিজেপি সরকার জাতীয় লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ১০ শতাংশ কোটার বিষয়টি চালু করেছিল।
এর আগে, ২০১৯ সালে তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার ভারতী সংবিধানের ১০৩ তম সংশোধনীর মাধ্যমে এই ১০ শতাংশ কোটার বিষয়টি আনে। পরে, ক্ষমতাসীন বিজেপি মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ে নির্বাচনে হারলে খুব দ্রুতই কেন্দ্রীয় সরকারের এই সংবিধান সংশোধনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনে বলা হয়েছিল, যেখানে ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানে ৫০ শতাংশের বেশি কোটা রাখা যাবে না উল্লেখ করে নির্দেশ দিয়েছিল সেখানে কীভাবে সংবিধানের ‘মৌলিক কাঠামো’ পরিবর্তন করে আরও ১০ শতাংশ কোটা দেওয়া হলো। সেই আবেদনের শুনানি করতে গিয়েই আজ আদালত ১০ শতাংশ কোটা বহাল রাখার পক্ষে রায় দেন।
সুপ্রিম কোর্টের পাঁচজন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের চার বিচারপতিই ১০ শতাংশ কোটার পক্ষে রায় দেন। তাঁদের মধ্যে বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট কেবল বিষয়টির বিপক্ষে যান। তিনি বলেন, ভারতীয় সংবিধান কোনোভাবেই কোনো অংশকে ‘বর্জনের’ পক্ষে নয়। তিনি সবার জন্য সমানাধিকারের ভিত্তিতে এই মন্তব্য করেন।