ভারতে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ শতাংশেরও বেশি। তবে পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমণ ৩৭ শতাংশ ছাড়িয়েছে। গোটা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ৪২ হাজার ৫২৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজধানী দিল্লিতে জারি করা হয়েছে ও শনি ও রোববার পূর্ণাঙ্গ লককডাউন। অন্যান্য রাজ্যেও চলছে কোভিড বিধিনিষেধ। মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। কলকাতাতেও সংক্রমণের হার বেড়ে চলেছে।
ভারতে বর্তমানে সক্রিয় কোডিড রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ৭২ হাজারেরও বেশি। পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে। রাজ্যটিতে বর্তমানে ৫১ হাজারেরও বেশি কোভিড আক্রান্ত রয়েছেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য সরকার জারি করেছে নৈশ কারফিউ। সেলুন ও বিউটিপারলারে অর্ধেক আসন খালি রাখতে বলা হয়েছে। সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে পাঠদান বন্ধ। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চলছে অর্ধেক লোকবল নিয়ে।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, দৈনিক সংক্রমণের হার আরও বাড়বে। তবে বেশির ভাগ আক্রান্তরই হাসপাতালে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি না হওয়ায় বা অক্সিজেনের প্রয়োজন না হওয়ার কারণে এখনো তেমন সংকট দেখা দেয়নি।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, কোভিড বা ওমিক্রনকে হালকভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। সাবধানতা অবলম্বন করতেই হবে। নইলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
ভারতে এরই মধ্যে ওমিক্রনে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর দেশে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ। পশ্চিমবঙ্গে এখন পর্যন্ত সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ হাজার। ভারতে সাড়ে ৩ কোটিরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে টিকাকরণকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি ১৫-১৮ বছর বয়সীদেরও চলছে টিকা দান কর্মসূচি।