হোম > বিশ্ব > ভারত

‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ’ নিয়ে বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে ঝাড়খণ্ডের ভোটাররা: জরিপ

ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনের ভোট দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয়রা। ছবিটি রাজ্যের পশ্চিম সিংভূম জেলার একটি কেন্দ্র থেকে তোলা। ছবি: পিটিআই

ভারতের রাজনৈতিক দল লোকতন্ত্র বাঁচাও অভিযান দাবি করেছে, ঝাড়খণ্ডের প্রথম দফার নির্বাচনে ভোটাররা বিদ্বেষ ও বিভাজনের রাজনীতি নয়, জনস্বার্থের ইস্যুতে ভোট দিয়েছেন। দলের সদস্যরা রাজ্যের সাঁওতাল পরগণা অঞ্চলের দুমকায় সাংবাদিকদের জানান, ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ৪৩টি আসনের ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেছে, তারা মূলত পানি, বন, জমি সংরক্ষণ, মেইন্যা সম্মান যোজনা, সামাজিক সুরক্ষা পেনশন, কৃষিঋণ মওকুফ এবং বিদ্যুৎ বিল ছাড়ের মতো জনস্বার্থের ইস্যুতে ভোট দিয়েছেন।

অভিযানের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিজেপি আদিবাসী ও স্থানীয়দের অধিকারের ভিত্তিতে নয়, বিভাজন ও ধর্মের নামে ভোট চাইছে। তারা সিএনটি-এসপিটি আইন, সরনা ধর্ম কোড, খতিয়ানভিত্তিক স্থানীয় নীতি, পানি-জমি-বনের অধিকার এবং কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে নীরব। বরং, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ইস্যুর মাধ্যমে ধর্মীয় মেরুকরণে জোর দিচ্ছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সাঁওতাল পরগনায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে বিজেপির প্রচারের ভণ্ডামি উন্মোচিত হয়েছে। কারণ উচ্চ আদালতে মোদি সরকারের দেওয়া জবাবে বলা হয়েছে, সাঁওতাল পরগনার জমি বিরোধে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। এগুলো ছিল স্থানীয় বিরোধ। এমনকি নির্বাচন কমিশনের গঠিত দলও (যাতে বিজেপি সদস্যও ছিলেন) কোনো প্রমাণ পায়নি। পার্লামেন্টেও মোদি সরকার বলেছে, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে তাদের কোনো তথ্য নেই।’

লোকতন্ত্র বাঁচাও অভিযান জানিয়েছে, পানি, বন, জমির জন্য সংগ্রামই ঝাড়খণ্ড রাজ্য গঠনের মূল ভিত্তি ছিল। জেএমএম তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ১৯৩২ সালের খতিয়ানভিত্তিক স্থানীয় নীতি কার্যকর এবং জমি ব্যাংক বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু বিজেপি এসব বিষয়ে একেবারে নীরব। সরনা কোড নিয়েও বিজেপির ইশতেহারে কিছু বলা হয়নি।

অন্যদিকে, জেএমএম এবং ইন্ডিয়া জোট সরনা কোড কার্যকরের কথা বলছে। অথচ বিজেপি রাজ্য সভাপতি বাবুলাল মারান্ডি সরনা-সনাতন ঐক্যের কথা বলছেন। বিজেপি এবং আরএসএস আদিবাসীদের সরনা-খ্রিষ্টান বিভাজনের যে সাম্প্রদায়িক খেলা খেলছে, তা প্রকাশ পেয়েছে গেছে বলেও উল্লেখ করা বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, খতিয়ানভিত্তিক স্থানীয় নীতি এবং সরনা কোড সংবিধানের নবম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব ঝাড়খণ্ড সরকার দিলেও কেন্দ্র তা আটকে দিয়েছে। এ ছাড়া, পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ ২৭ শতাংশে বৃদ্ধির প্রস্তাবও থমকে আছে।

উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডের দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হবে ২০ নভেম্বর।

বাংলাদেশের ভিসা স্থগিতে বিপাকে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা, সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আহ্বান

সন্তানের অভিভাবকত্ব নিয়ে আইনি লড়াইয়ে পরাজয়, দুই শিশুকে বিষ খাইয়ে বাবা-দাদির আত্মহত্যা

ভারতে নারী সরকারি কর্মকর্তাকে ‘রিল তারকা’ বলায় ৪ কলেজশিক্ষার্থী আটক

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

যুক্তরাষ্ট্র-চীনও মোদিকে ভয় পায়, বাংলাদেশ নিয়ে চুপ থাকবেন না তিনি: বিজেপি নেতার হুঁশিয়ারি

‘হিন্দু রাষ্ট্র’ সংবিধানে থাকতে হবে না, এটি সূর্যোদয়ের মতোই সত্য: আরএসএস প্রধান

ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে ভারতেও

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

বন্ধু ট্রাম্পকে খুশি করতে মোদির ‘শান্তি’ বিল পাস, বিরোধীদের সমালোচনা