জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। গতকাল বুধবার একাধিক কঠোর পদক্ষেপ ঘোষণার পর আজ বৃহস্পতিবার আরও বড় পদক্ষেপ নিয়েছে নয়াদিল্লি। এবার পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ইস্যু করা সব ধরনের ভিসা বাতিল ও নতুন ভিসা পরিষেবা স্থগিত করেছে দেশটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য বর্তমানে চালু থাকা সব ধরনের বৈধ ভিসা আগামী রোববার (২৭ এপ্রিল) থেকে বাতিল বলে গণ্য হবে। এ ছাড়া পাকিস্তানের নাগরিকদের জন্য ইস্যু করা মেডিকেল ভিসার মেয়াদ আগামী মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) পর্যন্ত বৈধ থাকবে। এরপর সেটিও বাতিল বলে গণ্য হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে ভারতে অবস্থানরত সব পাকিস্তানি নাগরিককে এই সংশোধিত সময়সীমা অনুযায়ী তাঁদের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভারত ছাড়তে হবে। এর ফলে ভারতে থাকা বেশির ভাগ পাকিস্তানি নাগরিক দেশ ছাড়ার জন্য মাত্র ৭২ ঘণ্টা সময় পাবেন।
এর পাশাপাশি পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবাও স্থগিত করেছে ভারত। এর অর্থ হলো দেশটির নাগরিকেরা এখন থেকে ভারত ভ্রমণের জন্য নতুন কোনো ভিসা পাবেন না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় নাগরিকদের পাকিস্তান ভ্রমণ ‘সম্পূর্ণভাবে পরিহার’ করার পরামর্শ দিয়েছে। একই সঙ্গে, বর্তমানে পাকিস্তানে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদেরও যত দ্রুত সম্ভব ভারতে ফিরে আসার পরামর্শ দিয়েছে।
এর আগে গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা কমিটির (সিসিএস) বৈঠকে নেওয়া একাধিক পদক্ষেপ নেয় ভারত।
পেহেলগামের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের মধ্যে একজন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন। এই হামলায় পাকিস্তানের ‘সীমান্ত-সংশ্লিষ্টতা’র প্রমাণ মেলায় এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।
‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামের একটি জঙ্গি সংগঠন এই ভয়াবহ হামলার দায় স্বীকার করেছে। এই সংগঠনটি পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার একটি শাখা। টিআরএফের পেছনে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের হাত আছে বলে ধারণা করা হয়।
আরও পড়ুন—