ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় পৌর ও নগর পঞ্চায়েতের নির্বাচন চলছে। আগরতলা পৌর নিগম ছাড়াও ভোট রাজ্যের সাতটি পৌর পরিষদ এবং পাঁচটি নগর পঞ্চায়েতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হচ্ছে। ভোট গণনা করা হবে আগামী ২৮ নভেম্বর।
আজ বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণ শুরু হতে না হতেই শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। তাঁদের অভিযোগ, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী লিটন দেব এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামল পালের ওপর হামলা চালিয়েছে বিজেপি। পোলিং এজেন্টদেরও মারধর করা হয়েছে।
বিজেপি শাসিত শহরাঞ্চলের ভোটকে ঘিরে এবার রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টকেও কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিতে হয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে নালিশও জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি।
আগরতলা পুর নিগমের ৫১টি ওয়ার্ডসহ রাজ্যের মোট আটটি জেলার ২২২টি ওয়ার্ডে ভোট চলছে। ১২২টি ওয়ার্ডে শাসক দলের প্রার্থীরা বিনা ভোটে জিতে গেছেন। শহরাঞ্চলের ছয়টি পৌর পরিষদ ও একটি নগর পঞ্চায়েত এরই মধ্যে বিজেপির দখলে।
এবারের পৌর নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠেছে। শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগে সোচ্চার তৃণমূল। সুপ্রিম কোর্টে মামলা, প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ করার পরও হামলা থামছে না বলে রাজ্য তৃণমূলের আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক অভিযোগ করেছেন।
সুবল ভৌমিক বলেন, ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই। মানুষের ভোটাধিকার লুণ্ঠন করছে বিজেপি আশ্রিত দুর্বৃত্তরা। মানুষ ভোট দিতে পারলে বিজেপি হারবেই। একই অভিযোগ সিপিএমেরও। দলের রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী বলেন, এমন সন্ত্রাস কখনো হয়নি।
তবে বিরোধীদের অভিযোগ মানতে নারাজ শাসক দল। বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্যের মতে, বিরোধীদের কোনো রাজনৈতিক ভিত্তি নেই। মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। জনবিচ্ছিন্ন নেতারাই বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন।
এরই মধ্যে বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমবাসা, মোহনপুর, রানীরবাজার, বিশালগড়, উদয়পুর, শান্তিরবাজার পৌর পরিষদ এবং জিরানিয়া নগর পঞ্চায়েতের সব কটি ওয়ার্ডে বিনা ভোটে জয়ী হয়েছে। বিরোধীরা সেখানে প্রার্থীই দিতে পারেনি।