প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বেঙ্গালুরু সফরের মাত্র দুই দিন আগে একটি রাস্তা সংস্কার করা হয়েছিল। সফরের পর ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই সেই রাস্তা ভেঙে খানাখন্দে পানি জমতে শুরু করেছে। এ নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে রাজ্যের বিজেপি সরকার। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই। নাগরিক সমাজ এমন অনিয়মের বিষয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
২০ জুন বেঙ্গালুরু সফরে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শহরের নাগরিক কমিটি ব্রুহাত বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকে বা বিবিএমপি প্রধারমন্ত্রীর সফরের আগে রাস্তা সংস্কারে ২৩ কোটি রুপি খরচ করেছে। এর অংশ হিসেবে সফরের মাত্র দুই দিন আগে ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্য দিয়ে যাওয়া একটি রাস্তা পুনর্নির্মাণে ব্যয় করা হয় সাড়ে ৬ কোটি রুপি। ডক্টর বিআর আম্বেদকর স্কুল অব ইকোনমিকস বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য এই রাস্তাটি প্রধানমন্ত্রী মোদি ব্যবহার করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদি দিল্লির উদ্দেশে রওনা হওয়ার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে বৃষ্টির কারণে রাস্তাটিতে ফাটল ধরে এবং স্থানে স্থানে ভেঙে পড়েছে। রাস্তাটি আবার করা হচ্ছে। তবে নাগরিক কমিটিকে এর জন্য আর কোনো টাকা দেওয়া হচ্ছে না। কারণ ঠিকাদারকে দায় বিমার অধীনে এই রাস্তায় অবশ্যই আবার নির্মাণ করে দিতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই বিবিএমপি কমিশনারকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। নাগরিক কমিটি তিন ইঞ্জিনিয়ারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। কিন্তু কমিশনার তুষার গিরিনাথ জনগণের টাকা খরচের জবাবদিহি সম্পর্কে প্রশ্নের বিষয়ে গণমাধ্যমের কাছে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের এ সংক্রান্ত একটি আবেদনের শুনানি করে কর্ণাটক হাইকোর্ট বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে প্রায়ই শহর পরিদর্শন করা উচিত! তাহলে কি নাগরিক কমিটির তাদের সব কাজ নিয়মিত পরিদর্শন করতে হবে?