হোম > বিশ্ব > ভারত

সংগমরত যুগলকে হত্যা, তান্ত্রিক গ্রেপ্তার 

ভারতের রাজস্থানের উদয়পুরে সুপারগ্লু দিয়ে জোড়া লাগানো অবস্থায় এক যুগলের নগ্ন মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুরুষটিকে গলা কেটে এবং নারীটিকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। পরে তাদের দেহ সুপারগ্লু দিয়ে জোড়া দেওয়া অবস্থায় জঙ্গলে ফেলে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় পুলিশ এক তান্ত্রিককে গ্রেপ্তার করেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত যুবকের নাম রাহুল মীনা (৩২) এবং যুবতীর নাম সনু কানওয়ার (৩১)। রাহুল স্থানীয় একটি সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁরা এই হত্যাকাণ্ডের রহস্যের জট এরই মধ্যে খুলে ফেলেছে। তাঁরা এই হত্যাকাণ্ডের সন্দেহভাজন হিসেবে ভালেশ যোশী নামে ৫২ বছরের এক তান্ত্রিককে গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশ কর্মকর্তা ভূপেন্দ্র সিং এবং কুন্দন কুওয়ারিয়া জানিয়েছেন, ওই দুজন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। তাঁরা দুজনই অন্যত্র বিয়ে করেছিলেন। এই ঘটনার জের ধরে পুলিশ অন্তত ২০০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ঘটনাস্থলের আশপাশে ৫০টি জায়গায় সিসিটিভি ক্যামের লাগিয়ে সেগুলোর ভিডিও বিশ্লেষণও করেছে। সেখান থেকে পুলিশ ভালেশকে চিহ্নিত করে এবং গ্রেপ্তার করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি ওই দুজনকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, সনু এবং রাহুলের প্রেম শুরু হয় ভালেশ যোশী যে মন্দিরে থাকেন সেই মন্দির থেকেই। সনু প্রায়ই ওই তান্ত্রিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। তবে সনু এবং রাহুলের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রাহুলের পরিবারে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি করে। পরে রাহুলের স্ত্রী তান্ত্রিকের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানালে তান্ত্রিক তাঁকে রাহুলের পরকীয়ার বিষয়ে জানিয়ে দেন। পরে বিষয়টি জানতে পেরে রাহুল এবং সনু তান্ত্রিককে হুমকি দেন যে, তাঁরা তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং মানহানির মামলা করবেন।

পরে জনসমক্ষে নিজের সম্মানহানি হতে পারে এই ভয়ে সনু এবং রাহুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ভালেশ যোশী। পরিকল্পনা মোতাবেক অতি দ্রুত জোড়া লাগায় এমন ৫০টি সুপারগ্লুর প্যাকেট কিনে আনেন এবং সেগুলোকে একটি মাত্র বোতলে ভরে রাখেন। এরপর গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় তিনি সমঝোতার কথা বলে সনু এবং রাহুলকে ডেকে আনেন এবং জঙ্গলের একটি জনবিরল এলাকায় নিয়ে যান।

পুলিশ জানিয়েছে, এরপর ভালেশ রাহুল এবং সনুকে মিলিত হতে বলেন এবং জানান, এর ফলে তাদের মধ্যকার ঝামেলা দূর হয়ে যাবে। এই বলে তিনি সেখান থেকে চলে যান এবং সনু এবং রাহুল ঘনিষ্ঠ হলে তিনি ফিরে এসে তাদের শরীরে সুপারগ্লু ঢেলে দেন এবং এরপরই রাহুলকে গলা কেটে এবং সনুকে ছুরিকাঘাত করে আহত করেন। কেবল তাই নয় রাহুলের যৌনাঙ্গও কেটে ফেলা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে যায়, তখন ওই দুজন পরস্পর দ্রুত শুকিয়ে যাওয়া গ্লু থেকে নিজের মুক্ত করা চেষ্টা করছিলেন। ওই দুজনকে পোড়ানোর চেষ্টাও করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, তাঁরা এরই মধ্যে ওই হত্যাকাণ্ডে তান্ত্রিক ভালেশ যোশীর জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। তাঁরা তান্ত্রিকের আঙুলে সুপারগ্লু লেগে থাকার প্রমাণ পেয়েছেন।

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

বন্ধু ট্রাম্পকে খুশি করতে মোদির ‘শান্তি’ বিল পাস, বিরোধীদের সমালোচনা

কুয়াশার কারণে পশ্চিমবঙ্গের জনসভায় গেলেন না নরেন্দ্র মোদি

আসামে মধ্যরাতে ট্রেনের ধাক্কায় ৭ হাতির মৃত্যু, রক্ষা পেলেন যাত্রীরা

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বাজপেয়ির ‘সেই বক্তব্য’ সামনে আনলেন শশী থারুর

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ

ভারতীয়দের বিরুদ্ধে এইচ-১বি ভিসায় ব্যাপক জালিয়াতি ও ঘুষের অভিযোগ

বর্তমান বাংলাদেশ একাত্তরের পর সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ: ভারতের সংসদীয় কমিটি

অবসরের আগে ফরমায়েশি রায়, বিচারকদের অসততায় উদ্বিগ্ন ভারতের প্রধান বিচারপতি

মুসলিম স্ত্রীকে নিয়ে বিবাদ, ভারতে বাবা-মাকে মেরে খণ্ডিত দেহ নদীতে ফেলল ছেলে