ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে এক স্বর্গের মতো স্থান দার্জিলিং। সেই স্বর্গে বেড়াতে গেলে কর ভ্রমণ আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দার্জিলিং পৌরসভা। তবে সমালোচনার মুখে পড়ে টুরিস্ট কর আরোপের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। আরও আলোনার পরেই এই কর কার্যকরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দার্জিলিং পৌরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র ঠাকুরি।
‘ইটিভি ভারত’ ও ‘এই সময়ের’ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত সোমবার দার্জেলিংয়ের শৈলশহরে পর্যটকদের ওপর বাড়তি কর বসানোর ঘোষণা দেয় পৌরসভা। দার্জিলিং পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পর্যটক পিছু কর আরোপের এ সিদ্ধান্ত নেয় পৌরসভা। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বিভিন্ন মহলের ক্ষোভ ও সমালোচনার মুখে পড়ে পৌর কর্তৃপক্ষ। পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে হোটেল মালিকেরা এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর পরদিন মঙ্গলবার পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, সেই সিদ্ধান্ত এখন পরিকল্পনা স্তরে।
প্রায় এক যুগ পর গত সোমবার পাঁচ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেক পর্যটক পিছু ২০ টাকা কর সংগ্রহের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দার্জিলিং পৌরসভা।
তবে মঙ্গলবার সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটে দার্জিলিং পৌরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র ঠাকুরি বলেছেন, ‘পর্যটকদের থেকে নতুন কর নেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনো চুড়ান্ত নয়। রিভিউ মিটিংয়ের পর বিষয়টি চুড়ান্ত হবে।’
তবে এটি কর নয়, ফি বলেই দাবি দার্জিলিং পৌরসভার। দার্জিলিং পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য পর্যটকদের থেকে ২০ টাকা করে কর সংগ্রহের জন্য একটি এজেন্সিকে টেন্ডারও দেওয়া হয়েছে বলে সোমবার জানানো হয়েছিল। আপাতত রিভিউ মিটিংয়ের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে দার্জিলিংয়ের পর্যটনের সঙ্গে জড়িত নানা পেশার লোকেরা।
তবে দার্জিলিং পৌরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র ঠাকুরি জানিয়েছেন, ‘এই কর নতুন কিছু নয়। এর আগেও পর্যটকদের থেকে এই কর নেওয়া হতো। ২০১৫ সালের পর এই কর নেওয়া এত দিন বন্ধ ছিল। এক যুগ পর সেই কর ব্যবস্থাকেই পুনরায় চালুর ভাবনা পৌরসভার।
পৌরসভার দাবি, যেকোনো পর্যটন কেন্দ্রে এই কর নেওয়া হয়ে থাকে। টাইগার হিলেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য টাকা নেয় বন বিভাগ ও পৌরসভা। লেপচাজগতেও ছবি তোলার জন্য দিতে হয় টাকা।