কলকাতায় আরও এক জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। বৃহস্পতিবার দমদম বিমানবন্দরের কাছে বারাসাত থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জেএমবি সদস্য হলেন, রাহুল সেন ওরফে রাহুল কুমার ওরফে লালু সেন।
গত রবিবার কলকাতার হরিদেবপুর থেকে গ্রেপ্তার নাজিউর রহমান ওরফে জোসেফ, মিকাইল খান ওরফে সাব্বির ও রবিউল ইসলামকে জেরা করেই রাহুলের খোঁজ পায় এসটিএফ। রাহুলের কাছ থেকে দুইটি ল্যাপটপ, একটি আইপ্যাড ও দুইটি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করেছে এসটিএফ।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এর আগে বেআইনি অনুপ্রবেশের অভিযোগে বাংলাদেশেও গ্রেপ্তার হয়েছিল রাহুল। বাংলাদেশের জেলে থাকার সময়ই নব্য জেএমবি নেতা আনসার আলী ওরফে হৃদয় এবং আল আমিনের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। জেএমবির কার্যকলাপের জন্য রাহুলের মাধ্যমেই হুন্ডিতে টাকা আসত রাহুলের মাধ্যমে। সেই রিজাউলদের নকল পরিচয়পত্র করে দেওয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজে সাহায্য করত সে।
রাহুলের মা সন্ধ্যা সেন জানিয়েছেন, তিনি ছেলের জঙ্গি-যোগের বিষয়ে কিছুই জানতেন না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, রাহুলের স্ত্রী বাংলাদেশে থাকেন। সেখানে তিনি একজন উকিল বলেই সন্ধ্যা জানেন। রাহুলকে এদিনই আদালতে পেশ করা হয়।
সাবেক সেনা কর্তা ব্রিগেডিয়ার পি কে সান্যাল এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছেন, 'বাংলাদেশ থেকেও জেএমবি কার্যকলাপ সম্পর্কে প্রচুর তথ্য এসে থাকতে পারে ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে।' সেই সঙ্গে উভয় দেশের গোয়েন্দাদের মধ্যে তথ্য বিনিময় ও সমন্বয়ের কথাও বলেন তিনি।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা মোবাইল ও অন্যান্য নথিপত্র থেকে জেএমবির সঙ্গে আল-কায়দা ও হুজির যোগাযোগের ইঙ্গিত মিলেছে। ভারত ও বাংলাদেশে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল জেএমবি সদস্যদের।