ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছে আম আদমি পার্টি (এএপি)। দলের সভাপতি ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে এর আগে গুজরাট হাইকোর্ট ২৫ হাজার রুপি জরিমানা করলেও মোদির পড়াশোনা নিয়ে এখনো খোঁচা দিয়ে চলেছেন এএপি নেতারা। জেলবন্দী দিল্লির সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী মনীষ সিসোদিয়া জেলে বসেই প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন।
হাতে লেখা চিঠিতে সিসোদিয়া মন্তব্য করেছেন, অল্প শিক্ষিত ব্যক্তির হাতে দেশ কখনোই সুরক্ষিত থাকতে পারে না। সিসোদিয়া এই চিঠি আজ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশ করেন কেজরিওয়াল নিজে। ফলে নতুন করে মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে চর্চা শুরু হলো।
২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতাকেই হাতিয়ার করতে চায় সাবেক আমলা এবং প্রযুক্তিবিদ অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর দল। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য জমা দেওয়া হলফনামায় মোদি জানিয়েছিলেন, ১৯৭৮ সালে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং ১৯৮৩ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমএ পাস করেন। কিন্তু তাঁর পাস করার সার্টিফিকেট দেখতে চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করে কেজরিওয়াল ভর্ৎসনা শিকার হন। ৩১ মার্চ গুজরাট হাইকোর্ট ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করে।
কিন্তু এএপি এতে দমতে রাজি নয়। আজ অরবিন্দ নিজেই টুইটারে জেলবন্দী মনীষ সিসোদিয়ার চিঠি প্রকাশ করেন। সিসোদিয়াকে উদ্ধৃত করে অরবিন্দ লেখেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বল্প শিক্ষা দেশের জন্য ভয়ংকর। মোদি বিজ্ঞান বোঝেন না। মোদি শিক্ষার গুরুত্ব বোঝেন না। গত কয়েক বছরে প্রায় ৬০ হাজার স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছেন।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, জেল থেকে জাতির উদ্দেশে এই চিঠি লিখেছেন তাঁর রাজনৈতিক সহকর্মী মনীষ সিসোদিয়া। সেই সঙ্গে তাঁদের দাবি, দেশের উন্নয়নে পড়াশোনা জানা ভালো প্রধানমন্ত্রী জরুরি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দেশের শিক্ষিত যুবকদের আকৃষ্ট করতে চাইছেন অরবিন্দ। এর আগে প্রচলিত রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রতি তরুণদের বিতৃষ্ণাকে হাতিয়ার করেই দিল্লিতে সরকার গড়তে সক্ষম হয়েছিলেন অরবিন্দ। চিরাচরিত রাজনৈতিক স্লোগানের বদলে অন্য ধারার মতপ্রকাশের মাধ্যমে বহু অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে সামনে আনতেও সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। এবার ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে তাই শিক্ষিত যুবকদের রাজনীতিতে আকৃষ্ট করতে উচ্চশিক্ষিতদেরই প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত বলে যুক্তি খাঁড়া করতে চাইছেন তিনি। তাই হাইকোর্টের রায়ে বিন্দুমাত্র পিছু না হঠে মোদির বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।