মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে দুই বছরের কারাদণ্ড পাওয়ার পরদিনই লোকসভায় গেলেন ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। আজ শুক্রবার সকালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য পার্লামেন্টে যান তিনি। বিক্ষোভের জেরে লোকসভা দুপুর পর্যন্ত মুলতবি হওয়ার পর চলে যান রাহুল।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, কারাদণ্ড পাওয়ার পর রাহুলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের রায় ও জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, সাজার কারণে রাহুলের লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হবে কি না—এমন আলোচনা চলছে। ভারতের কয়েকজন আইন বিশেষজ্ঞ বলছেন, দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং দুই বছরের সাজার কারণে লোকসভার সদস্য হিসেবে রাহুল স্বয়ংক্রিয়ভাবে অযোগ্য হয়ে গেছেন। আরেক দল বিশেষজ্ঞ বলছেন, রাহুল যদি রায় বদলাতে পারেন, তাহলে তিনি পার্লামেন্টের সদস্য হিসেবে অযোগ্য হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে পারবেন।
কেরালার ওয়েনাডে লোকসভা আসনের সদস্য রাহুল গান্ধী। তাঁকে গতকাল দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন গুজরাটের সুরাটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) এইচ এইচ ভার্মা। কারাদণ্ড ঘোষণার পর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাহুলের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার জন্য তাঁকে ৩০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময় পর্যন্ত জামিনে থাকবেন রাহুল।