বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ, ধর্মান্তর ও আদিবাসী জনসংখ্যার হ্রাস—এই তিন ইস্যু সামনে রেখে ঝাড়খন্ডে তিন বছরব্যাপী এক বৃহৎ পদযাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে বিজেপি। রাজ্যের প্রতিটি মহকুমায় ধাপে ধাপে চলবে এই কর্মসূচি, সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন যাত্রা হবে রাজ্যের প্রান্তিক ও আদিবাসী অঞ্চলগুলোতে।
আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) ভারতীয় নিউজ-১৮ জানিয়েছে, এই পদযাত্রার নেতৃত্ব দেবেন বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতা ও গড্ডার সংসদ সদস্য নিশিকান্ত দুবে। তাঁর সঙ্গে থাকবেন ঝাড়খন্ডের বিশিষ্ট নেতা চম্পাই সরেন ও বাবুলাল মারান্ডি। এই উদ্যোগে যোগ দেবেন সিধু-কানহুর বংশধর ও সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপিতে যোগ দেওয়া মণ্ডল মুর্মুও।
বিজেপির দাবি, ঝাড়খন্ডে বেআইনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ বাড়ছে এবং রাজ্য সরকার এতে নীরব সমর্থন দিচ্ছে। এই সমস্যার কথা ২০২৪ সালের নির্বাচনেও জোরালোভাবে তুলে ধরেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে সময় তিনি তাঁর প্রচারে ‘রুটি, বেটি ও মাটি’—এই তিন স্তম্ভের মাধ্যমে আদিবাসী সমাজের জীবিকার সংকট, কন্যাসন্তানদের নিরাপত্তা ও জমি রক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছিলেন।
বিজেপি জানিয়েছে, তারা আদিবাসীদের কল্যাণে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং ঝাড়খন্ড, ওডিশা ও ছত্তিশগড়ে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রতিবছর বীরসা মুন্ডার জন্মদিন ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ হিসেবে পালনের মাধ্যমে তাঁর উত্তরাধিকারকে সম্মান জানান। এ ছাড়া দ্রৌপদী মুর্মুর রাষ্ট্রপতি হওয়াকেও বিজেপি আদিবাসী নারীর ক্ষমতায়নের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরছে।
এই পদযাত্রার মাধ্যমে বিজেপি গ্রামীণ জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করতে চায় এবং একটি শক্ত রাজনৈতিক বার্তা দিতে চায় যে ঝাড়খন্ডে এমন একটি সরকার প্রয়োজন, যারা আদিবাসী স্বার্থ রক্ষা করবে, অনুপ্রবেশ রোধ করবে এবং তথাকথিত মাফিয়া রাজকে ভেঙে ফেলবে।
বর্তমানে ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা ও ইন্ডিয়া ব্লক এই রাজ্যের ক্ষমতায় আছে। ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার হেমন্ত সরেন রাজ্যটিতে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।