আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ মেগা রেল প্রকল্পে বেশ আটঘাট বেঁধে নেমেছে ভারতীয় রেল মন্ত্রণালয়। এ প্রকল্পের ফলে নেপাল ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাতেও রেলসেবা পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পের আওতায় পড়বে নেপাল ও বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি এলাকা।
দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ১১ আগস্ট রাজ্যসভায় এক লিখিত বিবৃতিতে জানান, সীমান্তবর্তী দেশের সঙ্গে মোট ১২৫ কিলোমিটার দূরত্বের নতুন পাঁচ রেললাইন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করতে ২ হাজার ৭২২ কোটি রুপি খরচ হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘মোট ১২৫ কিলোমিটারের নতুন রেললাইন প্রকল্পের মধ্যে ১ হাজার ৭২৯ কোটি রুপি ব্যয়ে ৬০ কিলোমিটার এরই মধ্যেই চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত কমিশন করা হয়েছে।’
রেলমন্ত্রীর মতে, (ভারত) আগরতলা-আখাউড়া (বাংলাদেশ) ব্রডগেজ প্রকল্পটি জাতীয় গুরুত্ব বহন করে। ভারতীয় অংশটির নির্মাণ করবে ভারতীয় নির্মাণ সংস্থা আরকোন এবং এর অর্থায়ন করবে ভারতীয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ অংশের নির্মাণ করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও এর অর্থায়ন করবে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রী জানান, এই সংযুক্তির ফলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যও বৃদ্ধি পাবে।
৫ দশমিক ৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারতীয় অংশটি আগরতলা রেলওয়ে থেকে শুরু হয়ে নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত। আন্তর্জাতিক সীমান্ত পড়বে গঙ্গাসাগরে। বাংলাদেশের অংশটির দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার।
ভারতীয় অংশের প্রত্যাশিত ব্যয়ের পরিমাণ ৮৬৫ কোটি রুপি, তবে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত এই প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ছিল ৭৮১ কোটি রুপি।
চলমান প্রধান লাইনগুলো বালুরঘাট-হিল, যোগবাণী-ব্রতনগর (নেপাল), আগরতলা-আখাউড়া (বাংলাদেশ), মহিষাসন-জিরো পয়েন্ট (বাংলাদেশ) এবং জয়নগর-বিজলপুরা।