ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। রাজ্য গভর্নরের অনুমতি সাপেক্ষে আগামীকাল তিনি শপথ নিতে পারেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের দল শিবসেনায় ভাঙনের ফলে রাজ্য বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। দলের বিদ্রোহী নেতা একনাথ সিন্ধের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন বিধায়ক দলত্যাগ করে বিজেপি জোটকে সমর্থন জানায়। তারই জেরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে গত ২৯ জুন ইস্তফা দেন উদ্ধব ঠাকরে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে রাজ্য গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সরকার গঠনের দাবি জানাবেন। দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে শিবসেনার বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা একনাথ সিন্ধেও শপথ নিতে পারেন। তিনি মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতের কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি–বিজেপি জোটের মহারাষ্ট্র রাজ্য ইউনিটের রাজ্য বিধানসভায় সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। বিজেপির দাবি তাদের সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে।
দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হলে এই নিয়ে তিনি তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।
এদিকে, একনাথ সিন্ধে এবং তাঁর সঙ্গে থাকা বিধায়কেরা দাবি করেছিলেন যে, তাঁরাই আসল শিবসেনা। এ নিয়ে তাঁরা নির্বাচন কমিশনেও যাবেন। জবাবে উদ্ধব এবং তাঁর অনুসারীরা জানিয়েছিলেন তাঁরাই বাল সাহেবের অনুসারী এবং তাঁরাই আসল শিবসেনা।
এর আগে, ৯ দিন আগে একনাথ সিন্ধের নেতৃত্বে শিবসেনার বেশ কয়েকজন বিধায়ক মহারাষ্ট্র ছেড়ে গুজরাটের সুরাটে চলে যান। পরে সেখানে থেকে তাঁরা চলে যান আসামের গুয়াহাটিতে। সেখানেই একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অবস্থান করেন বেশ কয়েক দিন। পরে গুয়াহাটিতে আরও কয়েকজন শিবসেনা বিধায়ক একনাথ সিন্ধের দলে যোগ দেন। সব মিলিয়ে একনাথ সিন্ধের পক্ষের বিধায়কের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৯ জনে।