ভারতের মধ্যপ্রদেশের একটি জাতীয় সড়কে টানা ৪০ ঘণ্টা যানজটে আটকে থেকে অন্তত তিন জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। অত্যধিক গরম, খাবার, পানির অভাব এবং চিকিৎসার সুযোগ না থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় দেশটির জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ (এনএইচএআই) বলছে, ‘মানুষ এত তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে বেরোল কেন?’ আদালতে করা এ মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে নিহতদের পরিবার, সাধারণ মানুষ ও নাগরিক সমাজ।
এ ঘটনার পর আদালতও সংস্থাটির আচরণে বিরক্তি প্রকাশ করেছে। রাজ্য প্রশাসন, টোল অপারেটর ও নির্মাণ সংস্থাকে দায়ী করে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে বিকল্প সড়ক নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হলেও এখনো নির্মাণ হয়নি। এর মধ্যে মূল সড়কটিতে সংস্কারকাজ চলমান থাকায় যানজট লেগেই ছিল। সম্প্রতি ভারী বৃষ্টির কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে।
নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলো এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলছে, ‘এটা শুধু প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয়, এটা নৈতিক দেউলিয়াপনার প্রকাশ।’
এদিকে নিহতদের পরিবার দাবি জানিয়েছে, সড়ক কর্তৃপক্ষ যেন প্রকাশ্যে ক্ষমা চায় এবং দায় স্বীকার করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নেয়।