বোমাতঙ্ক মুক্ত হলো ভারতের মুম্বাই। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার রাতে মহারাষ্ট্র পুলিশের কাছে ফোন আসে, ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র অমিতাভ বচ্চনের বাংলো ছাড়াও তিন জায়গায় বোম রাখা আছে।
গতকাল রাত ৮টা ৫৩ মিনিট নাগাদ ফোন আসার পরেই শুরু হয় নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা শুরু হয় । বম্ব স্কোয়াডের সদস্যদের পুলিশের বিশেষ দল ঘিরে ফেলেন অমিতাভের বাংলো।
তন্ন তন্ন করে তল্লাশি শুরু হয় তিনটি স্টেশনেই। সারা রাত ধরে চলে তল্লাশি। দ্রুততার সঙ্গে গোটা মুম্বাই শহর মুড়ে ফেলা হয় নিরাপত্তার চাদরে। বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয় স্পর্শকাতর এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মুম্বাই পুলিশের প্রধান নিয়ন্ত্রণ কক্ষেই ফোনটি এসেছিল। সেই ফোনে বলা হয়েছিল, মুম্বাইয়ের ব্যস্ততম ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাল, বাইকুল্লা ও দাদর রেলস্টেশনে বোম রাখা আছে।
জুহুতে অমিতাভ বচ্চনের বাড়িটিও সেই তালিকায় ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। তারপরই পুলিশ, আরপিএফ, বম্ব ডিটেকশন ও ডিসপোজাল স্কোয়াড, ডগ স্কোয়াড নিয়ে বোমা উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়।
কিন্তু কিছুই পাওয়া যায়নি। সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে। তবে পুলিশি নজরদারি এখনো চলছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। উঠে আসছে ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণের ভয়াবহ স্মৃতি।
১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ মুম্বাইয়ের ১৩টি জায়গায় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল জঙ্গিরা। সরকারি হিসাবেই মৃত্যু হয়েছিল ২৫৭ জনের। গোটা মুম্বাই কাঁপানো সেই বিস্ফোরণে আহত হয়েছিলেন ৭০০-রও বেশি মানুষ।
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ফের সন্ত্রাসী হামলায় কেঁপে ওঠে মুম্বাই। লস্কর-ই-তৈয়বা জঙ্গিরা এই অভিজাত হোটেলে হত্যাকাণ্ড চালায়। অন্তত ১৬৭ জন মারায় যায় ওই হামলায়
ভারতীয় নিরাপত্তা রক্ষীদের দুদিন সময় লাগে জঙ্গিদের হাত থেকে তাজ হোটেলকে মুক্ত করতে। ব্যাপক ক্ষতি হয় হোটেলটিরও।