দুই বছর আগে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মুম্বাইয়ে ২৫ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হয়েছেন। পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার শুকুর ইব্রাহিম শেখ ভারতের মুম্বাইয়ের ভাসি নগরে থাকতেন। তিনি ভাঙারি বিক্রি করতেন।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নালের খবরে বলা হয়, শিবাজি নগর এলাকায় অবৈধ বাংলাদেশি আসার খবর পেয়ে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী সেলের (এটিসি) কর্মীরা অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ২৫ জুলাই বিকেলে লাল শার্ট ও নীল জিনস পরে লোটাস কলোনি এলাকার কাছে আসবে—খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা করা হয়। স্পেশাল স্কোয়াডের কর্মকর্তারা সাদাপোশাকে অবস্থান নেন।
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে শেখ জানান, পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়াই তিনি এসেছেন। তিনি বাংলাদেশের নড়াইল থেকে এসেছেন। জীবিকার খোঁজে তিনি ভারতে এসেছেন বলেও জানান।
এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘শেখ বলে, অভাবের কারণে তার পরিবার বাংলাদেশে না খেয়ে থাকত। সে জন্যই রোজগার করতে সে ভারতে আসে। দুই বছর ধরে সে এটা-সেটা করে জীবিকা নির্বাহ করছে।’
ইমোর মাধ্যমে ছয়জনের সঙ্গে শেখের যোগাযোগ ছিল। পুলিশ জানায়, শেখের তাঁর মা-বাবা, ভাই ও কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তাঁকে ফরেনার্স অ্যাক্টের ১৪ ধারায় (অনুমোদিত ভিসা ছাড়া ভারতে অবস্থান করলে) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরেক মামলায় বাইকুল্লা পুলিশ চার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করে। গত শনিবার মাজগাঁও এলাকা থেকে এক নারীসহ তাঁদের আটক করা হয়। আটক চারজন হলেন ওয়াসিম মোড়ল, সালিম আলী, সালমান আশরাফ শেখ ও সুলতানা।
পুলিশ বলছে, তাঁরা নাভি মুম্বাইয়ে অবস্থান করছিল এবং শহরে কাজের খোঁজে এসেছিলেন।