হোম > বিশ্ব > ভারত

বাংলাদেশি অভিবাসীদের অনির্দিষ্টকাল আটকে রাখা কেন, সরকারের কাছে জবাব চাইলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার নীতিমালা মেনে চলছে না কেন, প্রশ্ন তোলেন সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: এসসিআই

ভারতের ১৯৪৬ সালের ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী ফেরত পাঠানোর সুযোগ থাকার পরও শত শত অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে কেন আটকে রাখা হয়েছে, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখলেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

আদালত প্রশ্ন করেন, ‘কোনো অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী অভিযুক্ত অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়ে গেলে, এটি কি প্রমাণিত হয় না যে তিনি ভারতের নাগরিক নন? তাহলে শত শত অবৈধ অভিবাসীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডিটেনশন ক্যাম্প/কারেকশনাল হোমে রাখা হচ্ছে কেন?’

কলকাতা হাইকোর্টের স্বপ্রণোদিত মামলা, যা পরে সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরিত হয়, তার শুনানিতে এ প্রশ্ন করেন বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং আর মহাদেবন সমন্বিত একটি বেঞ্চ।

আদালত বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিমালায় বলা আছে, যেকোনো অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে চিহ্নিত হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার কেন নিজেদের নীতিমালা মেনে চলছে না বলে প্রশ্ন তোলেন সুপ্রিম কোর্ট।

২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা পরিপত্রের ধারা ২ (ভি) উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট বলেন, এই ধারায় স্পষ্টভাবে বলা আছে, দেশ থেকে বহিষ্কার (ডিপোর্টেশন), যাচাই (ভেরিফিকেশন) ইত্যাদি প্রক্রিয়া ৩০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। এই ধারা কঠোরভাবে অনুসরণ না করার কারণ জানতে চান আদালত।

সুপ্রিম কোর্ট বলেন, এই মামলা শীর্ষ আদালতে স্থানান্তরিত হওয়ার পর প্রায় ১২ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। যখন তারা প্রথম এই মামলা শুনানি শুরু করেন, তখন প্রায় ৮৫০ জন বাংলাদেশি অভিবাসী সংশোধনাগারে আটক ছিলেন। বর্তমানে কতজন আটক আছেন তা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চান আদালত।

আদালত প্রশ্ন করেন, ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীনে দোষী সাব্যস্ত হয়ে বিভিন্ন ডিটেনশন ক্যাম্প বা সংশোধনাগারে বর্তমানে কতজন অবৈধ অভিবাসী রয়েছেন, যারা সম্পূর্ণ সাজা ভোগ করেছেন? আর সাজা ভোগ করলেও অনির্দিষ্টকাল ধরে সংশোধনাগারে আটকে রাখা হচ্ছে কেন জানতে চান আদালত।

শীর্ষ আদালত আরও বলেন, যদি একজন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী ফরেনার্স অ্যাক্ট, ১৯৪৬-এর ধারা ১৪ এ (বি) অনুযায়ী ধরা পড়েন এবং আদালত তাঁকে নির্দিষ্ট মেয়াদের কারাদণ্ড দেন, তাহলে সাজা শেষ হওয়ার পর তাঁকে অবিলম্বে দেশে ফেরত পাঠানো উচিত।

আদালত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। আদালত বলেন, ‘একজন অবৈধ অভিবাসীকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করার পরও তাঁর জাতীয়তা পুনরায় যাচাইয়ের প্রয়োজন কী?’

মামলাটি পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ায় এসব মামলায় তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সুপ্রিম কোর্ট। আদালত আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে বলেন, কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সংশ্লিষ্ট সব দিক ব্যাখ্যা করে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য শেষবারের মতো সুযোগ দেওয়া হলো।

ভারতে বাসে আগুন, জীবন্ত দগ্ধ হয়ে ৯ জনের মৃত্যু

বাংলাদেশের ভিসা স্থগিতে বিপাকে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা, সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আহ্বান

সন্তানের অভিভাবকত্ব নিয়ে আইনি লড়াইয়ে পরাজয়, দুই শিশুকে বিষ খাইয়ে বাবা-দাদির আত্মহত্যা

ভারতে নারী সরকারি কর্মকর্তাকে ‘রিল তারকা’ বলায় ৪ কলেজশিক্ষার্থী আটক

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

যুক্তরাষ্ট্র-চীনও মোদিকে ভয় পায়, বাংলাদেশ নিয়ে চুপ থাকবেন না তিনি: বিজেপি নেতার হুঁশিয়ারি

‘হিন্দু রাষ্ট্র’ সংবিধানে থাকতে হবে না, এটি সূর্যোদয়ের মতোই সত্য: আরএসএস প্রধান

ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে ভারতেও

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক