ভারতে আজ সোমবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে ১০ ঘণ্টার ভারত বন্ধ। উৎপাদিত পণ্যের সঠিক দামের নিশ্চয়তাসহ একাধিক দাবিতে ৪০টি কৃষক সংগঠনের সম্মিলিত জোট সংযুক্ত কৃষক মোর্চার ডাকে চলছে এই ভারত বন্ধ। সকাল থেকেই দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, কেরালা, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বন্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। কংগ্রেস ও বাম দলগুলো ছাড়াও বিভিন্ন আঞ্চলিক দল এই বন্ধকে সমর্থন জানিয়েছে।
ভারত বন্ধে দিল্লি ও অমৃতশ্বরের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। অনেক জায়গায় রেল চলাচলে বাধা দিচ্ছে বন্ধ সমর্থকেরা। বিভিন্ন কারখানার সামনেও চলছে আন্দোলন।
সংযুক্ত কৃষক মোর্চার নেতা রাকেশ টিকায়েত ব্যবসায়ীদের বিকেল ৪টা পর্যন্ত দোকান-পাট বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দেশ জুড়ে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। আন্দোলন চলবে।
বন্ধকে সমর্থন জানিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে পথে নেমেছেন বামপন্থীরাও। পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, ত্রিপুরা, কর্ণাটক, উড়িশ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশসহ বিভিন্ন রাজ্যে তাঁরাও পথে নেমেছেন। ট্রেড ইউনিয়নগুলোকেও বিভিন্ন কারখানার সামনে পিকেটিং করতে দেখা গেছে।
তবে দেশের কোথাও কোথাও বন্ধের ব্যাপক প্রভাব পড়লেও অনেক জায়গাতেই তেমন প্রভাব পড়েনি। বিশেষ করে বিজেপি প্রভাবিত রাজ্যগুলোতে জনজীবন ছিল অনেকটাই স্বাভাবিক।
উল্লেখ্য, গত বছর আজকের দিনে তিনটি কৃষি বিল পাস হয় ভারতের জাতীয় সংসদে। এই বিলে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের দাম নির্ধারণে আইনি রক্ষাকবচ তুলে নেওয়া হয়। বাতিল হয় বেশ কিছু পণ্যের অত্যাবশ্যকীয় তকমাও। গোটা দেশের কৃষকেরা গর্জে ওঠেন। দিল্লি ও হরিয়ানা সীমান্তে শুরু হয় কৃষকদের আন্দোলন। এরই মধ্যে কৃষক মোর্চা গোটা দেশে নো ভোট বিজেপি বা বিজেপিকে ভোট নয় প্রচার চালাচ্ছে।