উত্তর ভারতের লুধিয়ানা আদালতে বিস্ফোরণ এবং দিল্লি ও মুম্বাইকে লক্ষ্য করে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে সন্ত্রাসী সংগঠন শিখ ফর জাস্টিসের (এসএফজে) নেতা জাসবিন্দর সিং মুলতানিকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে জার্মান পুলিশ। গতকাল জার্মানি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুলতানি এসএফজে প্রতিষ্ঠাতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়া ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়—ভারতের মোদি সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং অস্ত্র চোরাচালানে জড়িত থাকা খালিস্তানপন্থী উগ্রপন্থীদের গ্রেপ্তারের জন্য জার্মানিকে অনুরোধ করে। এরই ধারাবাহিকতায় মুলতানিকে এরফুর্ট থেকে গ্রেপ্তার করে ফেডারেল পুলিশ। সীমান্তের ওপার থেকে পাঞ্জাবে গোলাবারুদ পরিবহনের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এর আগে চলতি বছরের ২৩ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) লুধিয়ানা আদালতে বিস্ফোরণে একজন নিহত এবং অন্তত পাঁচজন আহত হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, মুলতানি স্থানীয় সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে দিয়ে হামলা চালান।
হামলার পরে পুলিশ জীবন সিং নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। সিঙ্ঘু সীমানায় কৃষক নেতা বলবীর সিংহ রাজেওয়ালকে হত্যার উদ্দেশ্যে জীবনকে মধ্যপ্রদেশ থেকে অস্ত্র সংগ্রহে সাহায্য করেছিলেন মুলতানি। কিন্তু অস্ত্র হাতে পৌঁছানোর আগেই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুলতানি পাকিস্তান থেকে পাঞ্জাব ভিত্তিক অপারেটিভদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে বিস্ফোরক সামগ্রী পাঠানোর পরিকল্পনা করছিলেন।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন এসএফজে পাঞ্জাবের শিখদের জন্য একটি পৃথক আবাসভূমির দাবি করে আসছে; যার নাম 'খালিস্তান'। ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি পাঞ্জাবে বিচ্ছিন্নতা, সহিংস ও জঙ্গিবাদ প্রচার করে; এমন অভিযোগে ভারত সরকার কর্তৃক ২০১৯ সালে নিষিদ্ধ হয়।