ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেশটির শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী ও বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডার বৈঠক বাতিল হয়েছে। বৈঠকে মোদি সরকারের মন্ত্রিসভায় রদবদল ও সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। বৈঠকটি বাতিল হওয়ায় দেশটিতে এ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় বর্তমান মন্ত্রীদের পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা করে মন্ত্রিসভায় প্রয়োজনীয় রদবদল ও সম্প্রসারণের বিষয়েই বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে অনুষ্ঠেয় ওই বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারমণ ছাড়াও ধর্মেন্দ্র প্রধান, প্রহ্লাদ জোশি, পীযূষ গোয়েল ও নরেন্দ্র সিং তোমারের উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
গত ২০ জুন নরেন্দ্র মোদি তাঁর মন্ত্রিসভার সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠক করেন। সেখানে গত দুই বছরে সরকারের কর্মকাণ্ড মূল্যায়ন করা হয়। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সর্বোচ্চ ৮১ জন সদস্য থাকতে পারবেন। বর্তমানে ৫৩ জন সদস্য রয়েছেন। অর্থাৎ, মন্ত্রিসভায় আরও ২৮ জন সদস্য নিতে পারবেন মোদি।
প্রধানমন্ত্রী যদি তাঁর মন্ত্রিসভার আকার বর্ধিত করেন, তবে এটি হবে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ। ধারণা করা হচ্ছে, এটি আসন্ন পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হয়ে দাঁড়াবে এবং আগামী ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সঙ্গে যেসব নেতার নাম শোনা যাচ্ছে, তাঁরা হলেন আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যাওয়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধ্রিয়া, লাদাখের সাংসদ জামিয়াং সেরিং নামগিয়াল, লোক জনশক্তি পার্টির নেতা পশুপতি পরশ প্রমুখ।