ভারতের জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষ আজও দফায় দফায় মুলতবি হয়। বিরোধীরা শুরু থেকেই সরকার-বিরোধী স্লোগানে সভার কাজে বিঘ্ন ঘটান। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরোধীদের ভূমিকার কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন।
পেগাসাসের মাধ্যমে আড়ি পাতার অভিযোগে মঙ্গলবারও সংসদের উভয় কক্ষে কংগ্রেস, সিপিএম ও তৃণমূল বিক্ষোভ দেখায়। সেই সঙ্গে কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে সরব হন সমাজবাদী পার্টি, অকালি দল ও বিএসপি সদস্যরা।
এদিন অধিবেশন শুরুর আগে দলীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদি। সেখানে তিনি বিরোধীদের আচরণের কড়া সমালোচনা করেন। সংসদ অচল করার জন্য কংগ্রেসকেই দায়ী করেন মোদি।
দলীয় এমপিদেরকে মোদি বলেন, কংগ্রেসের এই নেতিবাচক রাজনীতির কথা জনগণকে বোঝাতে হবে। সংসদকে অচল করে দেওয়ার কৌশল দেশের উন্নতির বিরোধী, সেটা মানুষের বোঝা উচিত।
অন্যদিকে, কংগ্রেসের দাবি, অবিলম্বে পেগাসাসে আড়ি পাতার বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। তাঁদের এই দাবিকে সমর্থন জানান বাম ও তৃণমূল এমপিরাও। ওয়েলে নেমে এসে বিক্ষোভ দেখানোয় বারবার পণ্ড হয় সভার কাজ।
তিনটি কৃষি বিল প্রত্যাহার নিয়েও এদিন সকাল থেকেই সরব ছিলেন এসপি, বিএসপি ও আকালি দলের সদস্যরা। তাঁরা প্ল্যাকার্ড হাতে বারবার নেমে আসেন ওয়েলে। রাজ্যসভা ও লোকসভা অধিবেশন এদিনও বিঘ্নিত হয়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভির অভিযোগ, বিরোধীরা দেশবাসীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন। কারণ সরকার সমস্ত বিষয় নিয়েই সংসদে আলোচনায় রাজি। বিরোধীরা সেই সুযোগ দিচ্ছেন না।
এদিকে, পেগাসাস নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে, মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন দুই বর্ষীয়ান সাংবাদিক। তাঁদের আবেদন, সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে প্রকৃত সত্য তুলে ধরুন দেশবাসীর কাছে।