ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ড্রোন হামলার সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোরে সাইরেন বাজিয়ে বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
ইউক্রেন সরকারের দাবি, গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করার পর ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বৃহস্পতিবার। রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনজুড়ে বিভিন্ন শহরে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রুশ বাহিনী।
দুপুর ২টার কিছু পরে কিয়েভ সরকার মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে বিমান হামলার সাইরেন সম্পর্কে একটি সতর্কতা জারি করে বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আহ্বান জানায়। কিয়েভ অঞ্চলের গভর্নর ওলেকস্কি কুলেবা টেলিগ্রামে বলেন, ‘ড্রোন’ দ্বারা হামলা চালানো হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, একজন প্রত্যক্ষদর্শী কিয়েভের ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ এবং বিমান প্রতিরক্ষার শব্দ শুনেছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার রাতে একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, মধ্য, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম ইউক্রেনে দেশটির বিমানবাহিনী এদিন রাশিয়ার ৫৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ১১টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে তিনি স্বীকার করেছেন বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে তাঁর দেশের অধিকাংশ অঞ্চলের মানুষ।
এর আগে সোমবার রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ইউক্রেনকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাবগুলো সম্পর্কে কিয়েভ ভালো করেই জানে। এখন তারা প্রস্তাবগুলো মানবে কি না, সেটা তাদের ব্যাপার। যদি না মানে, তবে এ ব্যাপারে আমাদের সেনাবাহিনী সিদ্ধান্ত নেবে।’
এ বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ‘বিশেষ অভিযান’ নাম দিয়ে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, ইউক্রেনকে নাৎসিবাদমুক্ত ও নিরস্ত্রীকরণ করতে রাশিয়া এই অভিযান শুরু করেছে। তবে পশ্চিমারা অভিযোগ করেছিল, পুতিন অঞ্চল দখলের উদ্দেশ্য নিয়েই সাম্রাজ্যবাদী মনোভাব থেকে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করেছেন।