যুক্তরাজ্যে গত মাসে নিখোঁজ হওয়া ভারতীয় শিক্ষার্থীর মিলল লন্ডনের টেমস নদীতে। গত সেপ্টেম্বরে ২৩ বছর বয়সী মিতকুমার পাতিল উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। গত ১৭ নভেম্বর তিনি নিখোঁজ হন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ২১ নভেম্বর পূর্ব লন্ডনের ক্যানারি ওয়ার্ফ এলাকার কাছে টেমস নদীতে মেট্রোপলিটন পুলিশ মিতকুমারের মৃতদেহ খুঁজে পায়। পরবর্তীতে প্যারামেডিকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মেট্রোপলিটন পুলিশ বলছে, এই মৃত্যুকে ঘিরে কোনো সন্দেহ তাঁরা করছে না।
এ ঘটনায় মিতকুমারে আত্মীয় পার্থ পাতিল ‘গো ফান্ড মি’ ওয়েবসাইটে তহবিল সংগ্রহের আয়োজন করেন। গত এক সপ্তাহে এতে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ পাউন্ড জমা হয়। ওয়েবসাইটে বলা হয়, ‘মিতকুমার পাতিল একজন ২৩ বছর বয়সী তরুণ। তিনি ২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘তিনি একটি সাধারণ কৃষক পরিবার থেকে এসেছিলেন এবং গ্রামেই তাঁর বেড়ে ওঠা। সে ২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। গত ২১ নভেম্বর ক্যানারি ওয়ার্ফে পানিতে পুলিশ তাঁর মৃতদেহ খুঁজে পায়। আমরা ভারতে তাঁর পরিবারকে সহায়তা করতে এবং লাশ দেশে পাঠানোর জন্য তহবিল সংগ্রহ করছি।’
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে, গত ২০ নভেম্বর মিতকুমারের শেফিল্ড হাল্লাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে শেফিল্ডে চলে যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে আমাজনে একটি খণ্ডকালীন চাকরিও পেয়েছিলেন তিনি।
লন্ডনে থাকাকালীন হাঁটতে বের হয়ে আর ফিরে না না আসায় তাঁর আত্মীয়রা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। থানায় নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দেন তাঁরা। তাঁরা দেখতে পান, মিতকুমার ঘরে চাবিটি রেখেই বেরিয়ে গেছেন।