যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে যুদ্ধে টানার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের অজুহাত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধ চাইছে। গতকাল মঙ্গলবার মস্কোতে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এমনটি বলেন পুতিন ।
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া সেনা বাড়ানোর পরই দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, ইউরোপে ন্যাটো জোট বাহিনী নিয়ে রাশিয়ার উদ্বেগকে উপেক্ষা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেন, রাশিয়া হামলা চালালে শুধু ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ হবে না। এটি হবে ইউরোপের সঙ্গে একটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ।
ইউক্রেনে সফররত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সাংবাদিকদের বলেন, পুতিন ইউক্রেনের মাথায় বন্দুক ধরে আছেন। এ সময় তিনি ক্রেমলিনকে এই সামরিক বিপর্যয় থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কিয়েভে বৈঠকের পর বরিস জনসন বলেন, হামলা হলে পাল্টা লড়াই করবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে ২ লাখ নারী ও পুরুষ অস্ত্র নিয়ে তৈরি রয়েছে। তারা খুব ভয়াবহ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। আমি আশা করি যে তিনি সংঘাতের পথ থেকে সরে আসবেন।’
বরিস জনসন সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাজ্য রাশিয়ার আগ্রাসনের জবাব দেবে। রুশ সেনারা ইউক্রেনের ভূখণ্ডে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের প্রতিরোধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা ও অন্যান্য পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থিতিশীল শাসন ও রাশিয়া থেকে জ্বালানি স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য এরই মধ্যে ইউক্রেনকে ১১ কোটি ৯০ লাখ ডলার অর্থ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।