মন্টেনেগ্রোর প্রতি ৬ জনের মধ্যে একজনই হয় ইউক্রেনীয় নয়তো রাশিয়ান। বর্তমানে ছোট্ট বলকান ওই অঞ্চলটি দুটি যুদ্ধরত দেশের হাজার হাজার মানুষের আবাসস্থল। শুধু তাই নয়, দুই দেশের মধ্য এখনো তুমুল যুদ্ধ চললেও মন্টেনেগ্রোতে রাশিয়ান ও ইউক্রেনীয়রা ঐক্যবদ্ধ এবং আনন্দের সঙ্গেই সহাবস্থান করছেন।
শুক্রবার ইউরো নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—গত বছরের আদমশুমারি অনুযায়ী, দুই বছর আগে ইউক্রেনে রুশ হামলার পর থেকে মন্টেনেগ্রোতে ওই দেশ দুটির মানুষের সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে।
তবে উভয় দেশের হাজার হাজার মানুষ এখন মন্টেনেগ্রোতে বসবাস করলেও তাদের মধ্যে কোনো বিবাদ নেই। বরং তারা মিলেমিশেই পাশাপাশি বাস করছে। প্রতি রোববারই তাঁরা দলে দলে মন্টেনেগ্রোর বুডভা শহরের চার্চ অফ দ্য হলি ট্রিনিটি নামে একটি গির্জায় গিয়ে গায়ক দলের সঙ্গে গলা মিলিয়ে গাইছে।
গির্জার পুরোহিত আলেক্সান্ডার লেকিক বলেন, ‘তারা মনে করে, এটি তাদের বাড়ি এবং মানুষের মধ্যে সমস্ত পার্থক্য এখানে মিটমাট করা হয়েছে।’
দুই দেশের যুদ্ধ প্রসঙ্গে লেকিক বলেন, ‘এই যুদ্ধ কারওরই শোভা পায় না। সবাই শান্তির জন্য প্রার্থনা করছে এবং সেই কারণেই তারা এই মন্দিরে জড়ো হয়।’
এর ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু এবং অর্থোডক্স সংস্কৃতির জন্য মন্টেনেগ্রো রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয়দের কাছে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। এখানে বসবাস করা রাশিয়ান দম্পতি রোমান এবং লুসিয়া ইউক্রেনীয়দের বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের কোনো সমস্যা হয় না। তারা আমাদের বোঝে এবং আমরা তাদের বুঝতে পারি। আমরা তাদের পরিস্থিতি বুঝি। বুঝতে পারি, কেন আমরা এখানে আছি। এখানকার পরিবেশটি বন্ধুত্বপূর্ণ।’