হোম > বিশ্ব > ইউরোপ

শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে হত্যাকারী দুই রুশ এজেন্টকে হত্যার দাবি ইউক্রেনের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

হাজার হাজার ড্রোন ইতিমধ্যেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিস্টেম ব্যবহার করে। ছবি: এএফপি

রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবির দুই এজেন্টকে হত্যা করেছে ইউক্রেন। গতকাল রোববার, এক ভিডিওবার্তায় এমনটাই দাবি করেছেন ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ-এর প্রধান ভাসিল মালিউক।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির তথ্যমতে, এক বিবৃতিতে ভাসিল জানিয়েছেন, ওই দুই সন্দেহভাজন রুশ এজেন্টকে আটক করতে গিয়েছিল ইউক্রেনীয় পুলিশ। তবে, সেসময় পুলিশকে তাঁরা সহায়তা করেননি। বরং প্রতিরোধের চেষ্টা করেছেন। আর তাই তাঁদের হত্যা করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা এসবিইউ ও পুলিশ যৌথ অভিযানে তাঁদের আটক করতে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ভাসিল।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে কিয়েভের হোলোসিভস্কি জেলায় একটি পার্কিং লটে এসবিইউয়ের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা কর্নেল ইভান ভোরোনিচকে বেশ কয়েকবার গুলি করে হত্যা করে এক অজ্ঞাত বন্দুকধারী। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সকাল ৯টার কিছু পর তিনি একটি ভবন থেকে বের হতেই অপর এক ব্যক্তি তাঁর দিকে দৌড়ে এসে গুলি করে পালিয়ে যান। এই হত্যাকাণ্ডে দেশব্যাপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

গতকাল রোববার, এসবিইউ জানিয়েছে, নিহত রুশ এজেন্টরা কর্নেল ভোরোনিচের গতিবিধি নজরে রাখছিল এবং একটি নির্দিষ্ট স্থানে লুকিয়ে রাখা সাইলেন্সারযুক্ত পিস্তল সংগ্রহ করেছিল। হামলার পর তারা গা-ঢাকা দেয়, কিন্তু পরে গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তারাই ভোরেনিচকে হত্যা করেছে।

ইউক্রেনের জাতীয় পুলিশ জানিয়েছে, নিহত দুজন ‘বিদেশি নাগরিক’। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। রাশিয়ার পক্ষ থেকেও তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ মূলত অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারির কাজ করে। তবে রাশিয়ার সর্বাত্মক আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই সংস্থাটি দেশটির অভ্যন্তরে গুপ্তহত্যা ও উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার অভিযানে সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছে।

নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে রাশিয়ার জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা জেনারেল ইগর কিরিলভকে হত্যার পেছনেও এসবিইউ-এর হাত ছিল। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মস্কোতে আরেক জেনারেল, ইয়ারোস্লাভ মোসকালিককে গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার দায় ইউক্রেনের ওপর চাপিয়েছে ক্রেমলিন, যদিও ইউক্রেন আনুষ্ঠানিকভাবে এসব হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেনি।

সম্প্রতি ইউক্রেনে বিমান হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে রাশিয়া। গত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, ইউক্রেন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রুশ বিমান হামলার মুখোমুখি হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত জুন মাসে ইউক্রেনে তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে যুদ্ধের তৃতীয় বছরে গড়ালেও শান্তি আলোচনা কার্যত স্থবির। পূর্ব ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইনে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে, এবং রুশ বাহিনী ধীরে ধীরে কিছু এলাকায় অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছে সামরিক পর্যবেক্ষকেরা। একই সঙ্গে গত গ্রীষ্মে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর দখলে চলে যাওয়া রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকাও এখন পুনরায় নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে মস্কো।

এক বছরে ইউক্রেনের ৫ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখলের দাবি রাশিয়ার

রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্রিপ্টোমাইনিংয়ে কাজে লাগাতে চান ট্রাম্প: পুতিন

ক্রিসমাসের প্রার্থনায় পুতিনের মৃত্যু চাইলেন জেলেনস্কি

মস্কোতে বিস্ফোরণ, দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত তিন

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত জেলেনস্কির

পুতিনের সঙ্গে সিরিয়ার মন্ত্রীদের বৈঠক, আলোচনায় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা

ইউক্রেনের আরও এক শহর রাশিয়ার দখলে, মস্কোয় ড্রোন হামলা

ফিলিস্তিনপন্থী প্ল্যাকার্ড হাতে এবার লন্ডনে গ্রেপ্তার গ্রেটা থুনবার্গ

রেড স্কয়ারে কেন গায়ে আগুন দিলেন রুশ প্রতিরক্ষা কারখানার মালিক

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের আলোচনা প্রকৃত ফলাফলের খুব কাছাকাছি: জেলেনস্কি