রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন বিধ্বস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রুশ মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের প্রধান দিমিত্রি রোগোজিন। তিনি পশ্চিমা দেশগুলোকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দিমিত্রি রোগোজিন টেলিগ্রামে লিখেছেন, যারা মহাকাশ স্টেশনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তাদের নিষেধাজ্ঞার মূল্য বোঝা উচিত। যেসব দেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তারা আসলে ‘পাগল’ হয়ে গেছে।
গত মাসে পশ্চিমারা যখন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছিল, তখন টুইটারে রোগোজিন লিখেছিলেন, মহাকাশ স্টেশন পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে। টেকঅফের জন্য ব্যবহৃত একটি লাঞ্চার ২০২১ সাল থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অধীনে এবং ২০২২ সাল থেকে ইইউ ও কানাডার নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছে। রসকসমস ইতিমধ্যে নাসা, কানাডীয় স্পেস এজেন্সি ও ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির কাছে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসা গত ১ মার্চ বলেছে, তারা রাশিয়ার সাহায্য ছাড়াই আইএসএস মহাকাশযানকে কক্ষপথে রাখার একটি সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, মহাকাশ হচ্ছে শেষ একটি ক্ষেত্র, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া উভয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মার্চের শুরুর দিকে সামরিক উপগ্রহ নির্মাণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল রসকসমস। সে সময় রোগোজিন বলেছিলেন, মস্কো আর যুক্তরাষ্ট্রে এটলাস ও অন্টারেস রকেটের ইঞ্জিন সরবরাহ করবে না।
এদিকে একজন মার্কিন মহাকাশচারী মার্ক ভান্দে হেই এবং দুই রুশ মহাকাশচারী শকাপলরভ ও পিওটার দুব্রভ আইএসএস মহাকাশযানে রয়েছেন। আগামী ৩০ মার্চ তাঁদের পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা রয়েছে।