ইউক্রেনে দুর্নীতিবিরোধী দুটি সংস্থা সুপ্রিম কোর্টে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে কার কার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তা এখনো স্পষ্ট নয়। দেশটির ন্যাশনাল অ্যান্টি করাপশন ব্যুরো (এনএবিইউ) এবং স্পেশালাইসড অ্যান্টি-করাপশন প্রসিকিউটরস অফিস (এসএপি) যৌথভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলেছে, দুর্নীতির সঙ্গে কারা যুক্ত, কীভাবে দুর্নীতি হলো, সে বিষয়ে বিশদ কিছু বলেনি এনএবিইউ ও এসএপি। শুধু বলেছে, ক্রমশ প্রকাশ্য। তবে সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পোস্টের সঙ্গে কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে চেয়ারের ওপর বান্ডিল বান্ডিল নোট। কয়েক লাখ ডলারের দুর্নীতি হয়েছে বলে গণমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর আজ মঙ্গলবার একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডেকেছেন সুপ্রিম কোর্ট। প্লেনামের সেই বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের তরফেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট ঘুষকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছিলেন। প্রায় ৩ কোটি ডলার ঘুষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অন্য বেশ কয়েকজন বিচারপতিও সেই ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ। ২০২১ সালেই ঘুষকাণ্ডে জড়িত এই ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। আজকের বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
দুর্নীতি নিয়ে নাজেহাল ইউক্রেন। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ক্ষমতায় আসার পর জানিয়েছিলেন, তিনি দুর্নীতিমুক্ত ইউক্রেন তৈরির চেষ্টা করবেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ আদালত এবার সেই দুর্নীতির জালেই জড়িয়ে পড়লেন। এমন এক সময় তা ঘটল, ইউক্রেনে যখন যুদ্ধ চলছে।
জেলেনস্কি চাইছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশ হতে। তা হতে গেলে দুর্নীতির বিষয়টিকে যে কড়া হাতে দমন করা দরকার, জেলেনস্কি তা জানেন এবং সে কারণেই বিষয়টির ওপর এতটা জোর দিয়েছিলেন তিনি।