তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোয়ান বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে প্রায় তিন বছর ধরে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে তুরস্ক হতে পারে আদর্শ স্থান। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠকের পর এই প্রস্তাব দেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
বৈঠকের পর আঙ্কারায় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ান বলেন, ‘রাশিয়া, ইউক্রেন ও আমেরিকার মধ্যে সম্ভাব্য আলোচনা তুরস্কে আয়োজন করলে সবচেয়ে ভালো হবে।’
তিনি জানান, ২০২২ সালে ইস্তানবুলে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনাটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স পয়েন্ট। সেই সময় দুই পক্ষ চুক্তির প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল।
এরদোয়ান তাঁর বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন কূটনৈতিক উদ্যোগের কথাও উল্লেখ করেন। এই কূটনীতির অংশ হিসেবে আজই সৌদি আরবে একটি বৈঠকে মিলিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। তবে এই আলোচনায় ইউক্রেনকে না রাখার জন্য প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেন ছাড়া কোনো শান্তি চুক্তি মেনে নেওয়া হবে না। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সৌদি আরবে হওয়া আলোচনার সমালোচনা করেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আবারও ইউক্রেন নিয়ে আলোচনা চলছে, কিন্তু ইউক্রেনকে ছাড়া।’
এর আগে, গত সপ্তাহেও জেলেনস্কি বলেছিলেন, যদি কোনো শান্তি চুক্তি হয়, তবে সেটিতে ইউক্রেনের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবের রিয়াদে যখন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনা চলছিল, তখন তুরস্কের আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জেলেনস্কি। এর আগে সোমবার রাতেই তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে তুরস্কে পৌঁছান।
বৈঠকটি এরদোয়ানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে অনুষ্ঠিত হয়। এরদোয়ানের ঘনিষ্ঠ সহকারী ফাহরেত্তিন আলতুন জানিয়েছেন, আলোচনায় দুই দেশের সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।