ইউক্রেনীয়দের পিষে মারা হবে বলে রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচকে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসের প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।
টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচ। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পক্ষ থেকে একটি লিখিত নোট দেন পুতিনকে। যা দেখে পুতিন আব্রামোভিচকে বলেন, তাদের বলো আমি পিষে মারব।
ওই নোটটির সামান্য অংশ পেয়েছে দ্য টাইমস। তা দেখে ধারণা করা হচ্ছ, নোটটিতে যুদ্ধ বন্ধের জন্য ইউক্রেনের শর্তের বিস্তারিত ছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আব্রামোভিচ ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আলোচনায় ইউক্রেনের সাহায্য গ্রহণ করেছিলেন। আলোচনার পর তিনি ইস্তাম্বুল থেকে মস্কোতে যান। সেখানে গিয়ে পুতিনের কাছে ওই নোটটি দেন।
গত সোমবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন বেলারুশ সীমান্তে এ মাসের শুরুতে এক শান্তি আলোচনায় অংশ নেবার সময় রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচকে বিষ প্রয়োগ করা হয়।
তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বিষ প্রয়োগের কথা কথা অস্বীকার করা হয়েছে। ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলের সদস্য মাইখাইলো পোদোলিয়াক বলেছেন, অনেক জল্পনা-কল্পনা, বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব রয়েছে। আলোচনাকারী দলের আরেক সদস্য রুস্তেম উমেরভ জনগণকে ‘অযাচাইকৃত তথ্য’ বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
একজন মার্কিন কর্মকর্তাও বিষক্রিয়ার ঘটনাকে অস্বীকার করেছেন। মার্কিন গোয়েন্দাদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, পরিবেশগত কারণে আব্রামোভিচ এবং আলোচকেরা অসুস্থ হয়েছেন। আব্রামোভিচ এবং ইউক্রেনীয় আলোচকেরা এখন বিপদমুক্ত বলে জানা গেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলেছে যে আব্রামোভিচ রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনায় প্রাথমিক ভূমিকা পালন করেছিলেন। তবে এখন প্রক্রিয়াটি চালাচ্ছে দুই পক্ষের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফার বৈঠকে তুরস্কে মিলিত হবে ইউক্রেন-রাশিয়া শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলটি। পুতিনকে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য পশ্চিমারা আব্রামোভিচসহ বেশ কয়েকজন রাশিয়ান ধনকুবের, কোম্পানি এবং কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
২০০৩ সালে ব্রিটিশ ফুটবল ক্লাব চেলসি কেনার পরেই বিশ্বে পরিচিতি পায় আব্রামোভিচ।