১১ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের সেন্ট্রাল লন্ডনে ফিলিস্তিনের পক্ষে সমাবেশের পরিকল্পনাকে ‘উসকানিমূলক ও জাতীয় অনুভূতির প্রতি অসম্মানজনক’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে আন্দোলনকারীদের প্রতি সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। সেদিন যেকোনো ধরনের সংঘাত এড়াতে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে ঋষি সুনাক বলেন, ‘আর্মিস্টাইস ডে’তে বিক্ষোভের পরিকল্পনা শুধু ‘উসকানিমূলক ও জাতীয় অনুভূতির প্রতি অসম্মানজনকই’ নয়, বরং সেদিন বিক্ষোভ করা হলে সিনোটাফ ও অন্যান্য স্মৃতিস্তম্ভে হামলার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে তা যুক্তরাজ্যের মূল্যবোধের প্রতি অপমানজনক হবে। ব্রিটেনের জন্য যেসব সেনাসদস্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের প্রতি সম্মান জানানো জনগণের অধিকার এবং যুক্তরাজ্য সরকার অবশ্যই সেই অধিকার সংরক্ষণ করবে।
ঋষি সুনাক বলেছেন, তিনি আর্মিস্টাইস ডে এবং রিমেমব্রান্স সানডের পবিত্রতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করতে পুলিশকে সহায়তা করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে আসছে ব্রিটেন। তবে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও গাজায় বেসামরিকদের ওপর ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধের দাবিতে ব্রিটেনে আন্দোলন করছে দেশটির মুসলিম ও অভিবাসীরা। গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত রাজধানী লন্ডনেই আন্দোলনকারীরা অন্তত তিনটি বিশাল মিছিল করেছে বলে জানায় ব্রিটেন পুলিশ।
পুলিশ আরও জানায়, ১১ ও ১২ নভেম্বর নিরাপত্তা নিশ্চিতে উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যকে মোতায়েন রাখা হবে। দ্য প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইনের (পিএসসি) সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলেও জানায় লন্ডন পুলিশ। হোয়াইটহল এলাকা দিয়ে মিছিল করার কোনো ইচ্ছে নেই বলে পুলিশকে জানিয়েছে পিএসসি।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগের ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ মিছিলগুলো হোয়াইটহল দিয়ে প্রদক্ষিণ করেছে। আর সেখানেই সেনোটাফ স্মৃতিসৌধ অবস্থিত। মিছিলের অনুমতির জন্য ইতিমধ্যে লন্ডন পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান হয় সেই প্রতিবেদনে। সিনোটাফ স্মৃতিস্তম্ভ এবং পার্লামেন্ট এলাকা দিয়ে মিছিল নিয়ে যাওয়ার কথা অবশ্য ছিল না সেই আবেদনে।
লন্ডন পুলিশ জানিয়েছে, সহিংসতা ও ঘৃণাসংক্রান্ত অপরাধে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গত মাসে শুধু লন্ডন থেকেই ১৭০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।