যুক্তরাষ্ট্র অবাধ্য ইমরান খানকে শাস্তি দিতে চেয়েছিল বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া। আজ মঙ্গলবার একটি বিবৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এমন মন্তব্য করেন।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপিত হওয়ার পর গত ৩ এপ্রিল পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি সংসদ ভেঙে দেন। এরপরই এই মন্তব্য করল রাশিয়া।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা করে রাশিয়া। ওই দিনই রাশিয়া সফরে যান ইমরান খান।
এ প্রসঙ্গে মারিয়া জাখারোভা জানান, এই বছরের ২৩-২৪ ফেব্রুয়ারি ইমরান খানের মস্কো সফরের ঘোষণার পরপরই, আমেরিকান এবং তাদের পশ্চিমা সহযোগীরা প্রধানমন্ত্রীর ওপর অভদ্র চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করে।
পাকিস্তানি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, চলতি বছরের ৭ মার্চ পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদের সঙ্গে এক আলোচনায় একজন উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তা ইউক্রেনের ঘটনায় পাকিস্তানি প্রতিক্রিয়ার তীব্র নিন্দা করেন। আর স্পষ্ট করেন যে ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিলেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব সম্ভব।
জাখারোভা আরও বলেন, নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নির্লজ্জ মার্কিন হস্তক্ষেপের আরেকটি প্রয়াস এটি।
এদিকে ইমরান খানও দাবি করেছেন, বিদেশি শক্তিই তাঁকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার চেষ্টা করছে।
এ নিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিজেই বারবার বলেছেন যে তার বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমরা আশা করি যে পাকিস্তানি ভোটারদের এই পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হবে। আর জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।