ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবন ক্রেমলিন জানিয়েছে, ইউক্রেনের একাধিক বড় শহরে নিকটবর্তী এলাকাগুলো রাশিয়ার সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। এখন চাইলেই রুশ বাহিনী ইউক্রেনের বড় শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে।
শহরগুলোর নিকটবর্তী হলেও রাশিয়ার বাহিনী বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি কমাতেই রুশ প্রেসিডেন্টের নির্দেশনা মেনে শহরগুলো এখনই দখল করা থেকে বিরত রয়েছে উল্লেখ করে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘পুতিন বড় শহরগুলোতে যে কোনো হামলা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন, কারণ তাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি হবে।’
পেসকভ আরও বলেন, ‘তবে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, বড় শহরগুলো (যা এরই মধ্যে সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ করে রেখেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী) সেগুলোর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দখল করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’
পেসকভ বলেন, ‘মানবিক করিডরের জন্য ব্যবহৃত এলাকাগুলোর রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণের আওতায় আসবে না।’
এ দিকে, চীনের কাছে কোনো ধরনের সামরিক সহায়তা চায়নি বলে জানিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনে লক্ষ্য যথাসময়ে ও সম্পূর্ণরূপে অর্জনে রাশিয়ার পর্যাপ্ত সামরিক ক্ষমতা রয়েছে। সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবন ক্রেমলিন বিষয়টি জানিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ বিবৃতিতে এই বিষয়টি জানিয়েছেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেছিলেন—রাশিয়া চীন থেকে সামরিক সহায়তা চেয়েছে। তার জবাবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই বিবৃতি দেওয়া হলো।
এর আগে, একই বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে চীন। দেশটি—ইউক্রেন যুদ্ধে চীন যে ভূমিকা পালন করছে সে সম্পর্কে ‘বিভ্রান্তিমূলক তথ্য’ ছড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেছে। বেইজিং বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্য নিয়ে ইউক্রেন ইস্যুতে এসব বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াচ্ছে।
সোমবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক নিয়মিত বিবৃতিতে এ অভিযোগ করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। এমন এক সময়ে চীনের পক্ষ থেকে এই দাবি উত্থাপন করা হলো যখন আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই চীন-যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত দ্বয়ের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।