হোম > বিশ্ব > ইউরোপ

রাশিয়ার নজর এবার পূর্ব ইউরোপে, ন্যাটোর ঘোষণায় সংঘাতের ইঙ্গিত

ইউক্রেনে যে পরিকল্পনা থেকে সামরিক অভিযান চালানো হয়েছিল তার ‘প্রথম ধাপ’ অর্জিত হয়েছে। এখন নজর পূর্ব ইউরোপের বাকি অংশে। এমন ঘোষণাই দিয়েছে রাশিয়া। 

ওদিকে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো জানিয়েছে, পূর্ব ইউরোপে তারা উপস্থিতি দ্বিগুণ করছে। রাশিয়ার সামরিক হুমকি মোকাবিলায় বাল্টিক দেশগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানাচ্ছে ন্যাটো। 

ফলে স্পষ্টত, এই অঞ্চলে ন্যাটোর সম্প্রসারণ ঠেকাতে যে যুদ্ধ বাঁধাল রাশিয়া, সেটি এবার পুরো পূর্ব ইউরোপে সম্প্রসারিত হওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হতে যাচ্ছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধে বিপুল পরিমাণ ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়া। যদিও সে তুলনায় হতাহত কম বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। সে হিসেবে ধরে নেওয়া যায়, ইউক্রেনে মূলত অস্ত্র শাণিয়ে নিচ্ছেন পুতিন। 

গত বুধবার ব্রাসেলসে ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনের এক দিন আগে জোটের মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘জোটের উদ্দেশ্য, প্রথম ধাপে বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়ায় ন্যাটোর সশস্ত্র ইউনিট মোতায়েন করা। এরপর বাল্টিক দেশগুলো এবং পোল্যান্ডে আমাদের বিদ্যমান বাহিনীর পরিমাণ দ্বিগুণ করা হবে।’ 

ন্যাটো মহাসচিব বলেন, ‘এর মানে হলো, বাল্টিক থেকে কৃষ্ণসাগর পর্যন্ত আমাদের আটটি বহুজাতিক ন্যাটো যুদ্ধ ইউনিট থাকবে। এবং যত দিন প্রয়োজন হবে বাহিনী সেখানে থাকবে।’ 

শনিবার (২৬ মার্চ) রুশ সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফের প্রধান ডেপুটি চিফ কর্নেল জেনারেল সের্গেই রুদস্কয় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ইউক্রেনে ‘পরিকল্পনার প্রথম ধাপ’ বাস্তবায়ন করেছে রাশিয়া। পরবর্তী লক্ষ্য পূর্ব ইউক্রেন। 

ওই সংবাদ সম্মেলনে রুদস্কয় বলেন, ‘অপারেশনের প্রথম ধাপের মূল কাজগুলো সম্পন্ন হয়েছে। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধের সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় হ্রাস করা হয়েছে। ফলে আমরা দনবাস মুক্ত করা এবং ইউক্রেনে আমাদের যে মূল লক্ষ্য তা অর্জনের দিকে মনোনিবেশ করেছি।’ 

তবে কিয়েভ ও খারকিভের মতো প্রধান শহরগুলোর কাছে এসে রুশ বাহিনীর অগ্রগতি স্থবির হয়ে গেছে বলে স্বীকার করেছেন রুদস্কয়। ইউক্রেনের আকাশসীমায় রাশিয়া শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি। দনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত না করা পর্যন্ত ইউক্রেন সেনাবাহিনীকে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে বলে উল্লেখ করেছেন রুশ জেনারেল। 

এদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ প্রসঙ্গে জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ‘এ ধরনের অস্ত্রের ব্যবহার সংঘাতের প্রকৃতিকে মৌলিকভাবে বদলে দেবে। কেবল ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ অবকাঠামোই ধ্বংস করবে না, প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্যও গুরুতর পরিণতি বয়ে আনবে।’ 

এ সময় রাশিয়াকে সমর্থন দেওয়ার জন্য বেইজিংকেও সতর্ক করেন ন্যাটো মহাসচিব।

পুরো ইউক্রেন দখলের পরিকল্পনা বাদ দেননি পুতিন: মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন

কবিরাজিসহ প্রথাগত চিকিৎসার কার্যকারিতা খতিয়ে দেখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

৪০০ বছরের ঐতিহ্যে ইতি, আর চিঠি বিলি করবে না ডেনমার্কের পোস্ট অফিস

গ্রিস উপকূলে মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশিসহ ৫৪০ অভিবাসী উদ্ধার

রাশিয়াকে পশ্চিম সম্মান করলে আর যুদ্ধ হবে না: পুতিন

ভারতে তেল দিয়ে ফেরার পথে বিধ্বস্ত রুশ জাহাজ—প্রতিশোধের হুমকি পুতিনের

ভারতে তেল দিয়ে ফেরার পথে রুশ জাহাজে আঘাত হানল ইউক্রেন

শান্তিতে মাচাদোর নোবেল পাওয়ার বিরুদ্ধে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মামলা

‘মান বাঁচাতে’ ইউক্রেনকে ১০৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে ইইউ

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন