হোম > বিশ্ব > ইউরোপ

তুরস্কের বৈঠকে রাশিয়ার দাবি ‘অগ্রহণযোগ্য’—বললেন ইউরোপের নেতারা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

বা থেকে পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার। ছবি: সিএনএন

ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও পোল্যান্ডের নেতারা আজ শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে একমত হয়ে জানিয়েছেন, শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থান ‘অগ্রহণযোগ্য’। এই আলোচনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও পরামর্শ হয়েছে বলে জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার।

শুক্রবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে গত তিন বছরের মধ্যে প্রথম সরাসরি শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এই আলোচনাটি দুই ঘণ্টারও কম স্থায়ী হয়েছে এবং দুই পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য কমার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। ইউক্রেনের একটি সূত্র জানিয়েছে, মস্কোর দাবি ‘গ্রহণযোগ্য নয়’ এবং আলোচনার জন্য ভিত্তিহীন।

তুরস্কে যখন ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনা চলছে, ইউরোপের নেতারা তখন আলবেনিয়ার তিরানা শহরে ইউরোপীয় রাজনৈতিক কমিউনিটি সম্মেলনে ছিলেন। সেখান থেকেই তাঁরা ইস্তাম্বুলের আলোচনার ওপর গভীর দৃষ্টি রাখছিলেন। অবশেষে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস, পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার এক যৌথ বিবৃতিতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন।

স্টারমার বলেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। রাশিয়ার অবস্থান পরিষ্কারভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং এটা যে প্রথমবার ঘটল এমন নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার ফলস্বরূপ আমরা এখন একসঙ্গে সমন্বিতভাবে আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও তা করব।’

উল্লেখ্য, এই যৌথ বিবৃতির পর সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন গ্রহণ করেননি ইউরোপের নেতারা।

ইস্তাম্বুলে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার উত্থাপন করা দাবিগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর, ডেইলি সাবাহ ও ইউরো নিউজের বরাতে এই বিষয়ে কিছু ধারণা পাওয়া গেছে। জানা গেছে, রাশিয়ার দাবিগুলোর মধ্যে প্রথমেই তারা ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগ না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি চেয়েছে। রাশিয়া চায়, ইউক্রেন স্থায়ীভাবে নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করুক এবং ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করুক।

ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসংখ্যা ৮৫ হাজারের বেশি হবে না, এটি রাশিয়ার আরেকটি দাবি। এই দাবিটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির বিরুদ্ধে হওয়া ভার্সাই চুক্তির অনুরূপ।

রাশিয়ার আরেকটি উল্লেখযোগ্য দাবি হলো—তাদের দখল করা ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলগুলো ইউক্রেনের অংশ থাকলেও এগুলোকে বিশেষ স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। এ ছাড়া ক্রিমিয়া ইস্যুতে রাশিয়া প্রস্তাব করেছে, এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে ১০-১৫ বছর পর আলোচনা করা হবে। আর ইউক্রেনে রুশ ভাষার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে রাশিয়া।

এক বছরে ইউক্রেনের ৫ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখলের দাবি রাশিয়ার

রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্রিপ্টোমাইনিংয়ে কাজে লাগাতে চান ট্রাম্প: পুতিন

ক্রিসমাসের প্রার্থনায় পুতিনের মৃত্যু চাইলেন জেলেনস্কি

মস্কোতে বিস্ফোরণ, দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত তিন

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত জেলেনস্কির

পুতিনের সঙ্গে সিরিয়ার মন্ত্রীদের বৈঠক, আলোচনায় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা

ইউক্রেনের আরও এক শহর রাশিয়ার দখলে, মস্কোয় ড্রোন হামলা

ফিলিস্তিনপন্থী প্ল্যাকার্ড হাতে এবার লন্ডনে গ্রেপ্তার গ্রেটা থুনবার্গ

রেড স্কয়ারে কেন গায়ে আগুন দিলেন রুশ প্রতিরক্ষা কারখানার মালিক

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের আলোচনা প্রকৃত ফলাফলের খুব কাছাকাছি: জেলেনস্কি