ইউক্রেন সংকট নিরসনে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। রোববার রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবন ক্রেমলিন থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় রোববার রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার চলমান যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি ফিরিয়ে আনতে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দেন।
ক্রেমলিনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে রয়টার্স আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নিজেই মধ্যস্থতার প্রস্তাব নিয়ে টেলিফোন করেছেন বলে জানানো হয় ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পুতিন বেনেটকে জানিয়েছেন—রাশিয়া বেলারুশের গোমেলে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত ছিল। এ জন্য তাঁরা একটি প্রতিনিধি দলও পাঠিয়েছিল। কিন্তু কিয়েভ সুযোগটি হেলায় হারিয়েছে। তাঁরা ‘অনিচ্ছা প্রদর্শন করে সুযোগটি গ্রহণ করেনি’।
এ দিকে ইউক্রেন হামলা করায় রাশিয়াকে ‘উচ্চমূল্য’ দিতে বলে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। রোববার জার্মানির আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় শলৎস এ কথা বলেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
ওই আলোচনায় শলৎস আরও বলেন, তাঁর দেশ তাঁদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি করবে। শলৎস জানিয়েছেন, তাঁর সরকার দেশটির মোট জিডিপির ২ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করবে জার্মান সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন ও আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত করতে।
ইউক্রেনে রুশ হামলা ঘৃণ্য আখ্যা দিয়ে শলৎস বলেন, “ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলা একটি ‘ঘৃণ্য’ বিষয়। এটি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এই হামলাকে কোনোভাবেই ন্যায়সংগত বলা যায় না।’