ইউক্রেনের দখলে থাকা কুরস্ক অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রাম ফের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রাশিয়া। গতকাল রোববার এমনটাই দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পোস্টের বরাত দিয়ে জানায়, অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করে এই সফলতা পেয়েছে রাশিয়ার সেনারা। সেনারা একটি গ্যাস পাইপলাইনের ভেতর নিয়ে কয়েক মাইল পথ অতিক্রম করে গোপনে সীমান্তবর্তী সুদজা এলাকায় প্রবেশ করে। অঞ্চলটি থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের পুরোপুরি উৎখাতে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিটিতে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, রোববারের অভিযানে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে তিনটি গ্রাম—কুরস্কের উত্তরাঞ্চলীয় শহর স্তারায়া, নোভায়া সোরোচিনা এবং মালায়া লোকনিয়া। এ ছাড়া পূর্বাঞ্চলীয় একটি ছোট জনবসতিও পুনর্দখল করেছে রাশিয়া।
গত ৭ মাস ধরে রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় এই শহরটির নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ইউক্রেনের সেনাদের হাতে। গত সপ্তাহে, অঞ্চলটিতে অবস্থান করা ইউক্রেনীয় সেনাদের ওপর বড় ধরনের হামলা চালায় রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার সেনারা।
এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ। তবে, কুরস্ক অঞ্চলে রুশ সেনাদের সঙ্গে লড়াই হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। রুশ হামলা সফলভাবে প্রতিহত করার দাবিও করেছে তারা।
এক বিবৃতিতে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গ্যাস পাইপলাইনের ভেতর দিয়ে অভিনব কায়দায় হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে রুশ সেনারা। প্রায় চার দিন ধরে ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি গ্যাস পাইপ লাইনের ভেতরে হামাগুড়ি দিয়ে সুদজা এলাকায় ঢুকে পড়ে শ খানেক রুশ সেনা। ভারী গোলাবারুদের হামলায় প্রতিহত করা হয়েছে তাদের। ইউক্রেনের দাবি, সুদজা এলাকায় বড় পরাজয় মানতে হয়েছে রুশ সেনাদের।
এদিকে, টেলিগ্রামে এক পোস্টে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ‘কিয়েভের সেনাদের ঘিরে ফেলেছে আমাদের সেনারা। রুশ ভূখণ্ড খুব শিগগিরই ইউক্রেনীয় সেনামুক্ত হবে। উদ্বেগের দিন শেষ।’
যুদ্ধের ময়দানে যখন এমন পরিস্থিতি, তখন দুই দেশের মধ্যে সংঘাত বন্ধে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন পক্ষ। আগামী সপ্তাহে এ ইস্যুতে সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় দেশটিতে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন।