গোলাবারুদের সংকটে ভুগছে ইউক্রেনের সম্মুখযোদ্ধারা। বিদেশি সহায়তার অভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সামরিক অভিযান পিছিয়ে দিয়েছে দেশটি। একজন জ্যেষ্ঠ আর্মি জেনারেলের বরাতে রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।
রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দকৃত ৬ হাজার কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তা আটকে রাখায় এবং হাঙ্গেরি কিয়েভের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের বরাদ্দকৃত ৫ হাজার ৪৫০ কোটি ডলার আটকে রাখায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওলেকসান্দার তারনাভস্কি এ কথা বলেন।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘গোলাবারুদ নিয়ে সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে সোভিয়েত পরবর্তী গোলাগুলো ১২২ ও ১৫২ মিলিমিটারের। সম্পূর্ণ ফ্রন্টলাইনে আজ একই সমস্যা দেখা দিয়েছে।’
তারনাভস্কি বলেন, গোলাবারুদের ঘাটতি ‘অত্যন্ত বড় সমস্যা’ এবং বিদেশি সামরিক সাহায্য কমে যাওয়ায় তা যুদ্ধক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে। আমাদের প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ আমাদের কাছে যে ভলিউম রয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। তাই আমরা এগুলো পুনর্বণ্টন করছি। আমরা নিজেদের জন্য যে কাজগুলো ঠিক করেছিলাম তা পুনরায় পরিকল্পনা করছি এবং সেগুলো ছোট করে তুলছি। কারণ আমাদের ওই কাজগুলোর জন্য সরবরাহ দরকার।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের এ ধরনের মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইউক্রেন পুরোটাই পশ্চিমা সামরিক সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল। ইউক্রেনে গত ২২ মাস ধরে ১ হাজার কিলোমিটার ফ্রন্টে চলমান এ লড়াই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ।
তারনাভস্কি বলেন, রুশ সেনারাও এ ধরনের গোলাবারুদের সমস্যার মুখোমুখি হয়। তবে সমস্যাগুলোর স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা দেননি তিনি।
তিনি বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব ফ্রন্টে ক্লান্ত ইউক্রেনীয় সৈন্যরা কিছু এলাকায় রক্ষণমূলক অবস্থানে চলে গেছে, কিন্তু অন্যগুলোতে আক্রমণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইউক্রেনীয় সেনারা এখনো জয়ের প্রত্যাশা করে উল্লেখ করে তারনাভস্কি বলেন, ‘কয়েকটি এলাকায় আমরা রক্ষণমূলক অবস্থান নিয়েছি এবং কিছু জায়গায় কৌশল, হামলা ও এ গিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের রিজার্ভ বড় মাপের কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত করছি।’