ইউরোপজুড়েই ওয়াইনের চাহিদা অনেকটা কমে গেছে। ফলে ফ্রান্সে বিপুল পরিমাণ ওয়াইন উদ্বৃত্ত রয়ে গেছে। এই উদ্বৃত্ত ওয়াইন ধ্বংস করতে এবং উৎপাদনকারীদের সহায়তা দিতে ২০ কোটি ইউরো খরচ করবে ফ্রান্স। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের ওয়াইন শিল্প বেশ অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং মানুষের বিয়ারের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাওয়ার কারণে ওয়াইনের চাহিদা অনেকটাই কমে গেছে। এ ছাড়া অতিমাত্রায় উৎপাদনও ওয়াইন উদ্বৃত্ত হওয়ার অন্যতম কারণ।
ফরাসি সরকার জানিয়েছে, এই ২০ কোটি ইউরোর অধিকাংশ ব্যয় করা হবে উদ্বৃত্ত ওয়াইন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সুগন্ধীসহ অন্যান্য পরিষ্কারক দ্রব্য উৎপাদনের জন্য উৎপাদিত অ্যালকোহল কেনার জন্য। সরকার আরও জানিয়েছে, মাত্রাতিরিক্ত উৎপাদন এড়াতে ওয়াইন উৎপাদনকারীদের অন্যান্য খাত যেমন—অলিভ উৎপাদনে উৎসাহিত করতে প্রণোদনাও দেওয়া হবে এই তহবিল থেকে।
ফ্রান্সের কৃষিমন্ত্রী মার্ক ফেসন্যু বলেছেন, ‘এই অর্থ বণ্টনের মূল উদ্দেশ্য হলো ওয়াইনের মূল্য পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করা এবং যাতে ওয়াইন উৎপাদনকারীরা অন্য কোনো উৎস খুঁজে নিয়ে তা থেকে মুনাফা অর্জন করতে পারেন।’
কৃষিমন্ত্রী জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নও এই খাতের উৎপাদনকারীদের সহায়তার জন্য ১৬ কোটি ইউরো বরাদ্দ করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আর্থিক সহায়তা সত্ত্বেও ওয়াইন শিল্পকে ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে হবে, ভোক্তাদের পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং সেই অনুসারে খাপ খাইয়ে নিতে হবে।’
এদিকে, চলতি বছরের জুন মাসে প্রকাশ করা ইউরোপীয় কমিশনের তথ্য বলছে, ইউরোপজুড়েই ওয়াইন পানের হার কমে গেছে। ইতালিতে ৭ শতাংশ, স্পেনে ১০ শতাংশ, ফ্রান্সে ১৫ শতাংশ, জার্মানিতে ২২ শতাংশ এবং পর্তুগালে ৩৪ শতাংশ কমে গেছে ওয়াইনের চাহিদা। বিপরীতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে ওয়াইনের উৎপাদন বেড়ে গেছে ৪ শতাংশ।